রাজবাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও “মিতালি ফর্ণিচার হাউজ” এর মালিক সফিকুল ইসলাম সফির দখলে থাকা অর্ধ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের ০৬.১৯ একর জমি উদ্ধার পূর্বক মালিককে বুঝিয়ে দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার দিনভর নানা নাটকীয়তার পর ওই জমির দখল কার্যক্রম সম্পূর্ণ করা হয়। জমির মালিক ও রাজবাড়ী জেলা শহরের সজ্জনকান্দা গ্রামের ফায়ার সার্ভিস এলাকার হাবিবুর রহমানের ক্যামিক্যাল ব্যবসায়ী ছেলে মাসুদুর রহমান জানান, তার বাবা ১৯৯২ সালে এই জমি সফিকুল ইসলাম সফির বোন আনোয়ারা বেগমের কাছে বিক্রি করে। তার পর থেকে সফিকুল ইসলাম সফি সেখানে “মিতালি ফর্ণিচার হাউজ” নামক একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু করেন। তবে তিনি ২০০৯ সালে আনোয়ারা বেগমের কাছ থেকে জমি নিজ নামে ক্রয় করেন। ওই সময় সফিকুল ইসলাম সফি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সড়িয়ে নিতে সাত দিনের সময় নেন। তবে সফি তা সড়িয়ে না নিয়ে মৌখিক ভাবে তার বোনের কাছ থেকে কিনেছেন মর্মে তিনি রাজবাড়ীর নিম্ন আদালতে মামলা দায়ের করেন। সেই সাথে তিনি সফির বিরুদ্ধে উচ্ছেদ মামলা করেন। দীর্ঘ ১২ বছর মামলা চলার পর তিনি তার পক্ষে রায় পান। পরবর্তীতে সফি হাইকোর্টে মামলা করেন। হাইকোর্টেও রায় পান তিনি। মাসুদুর রহমানের আইনজীবি মারুফুল হাসান শামীম জানান, হাইকোর্টের ওই রায়ের প্রেক্ষিতে আদালত উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেন। সে কারণে বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা জজ আদালতের নাজির শ্যামল কুমার রায় এবং রাজবাড়ী থানা পুলিশের উপস্থিতিতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনার সময় সফির লোকজন বাঁধা প্রদান করে। বিকালের দিকে উভয় পক্ষের আলোচনার পর উচ্ছেদ কার্যক্রম সমাপ্ত করা হয়। এদিকে, সফিকুল ইসলাম সফি জানান, উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার আগে আদালত থেকে তাকে কোন নোটিশ করা হয়নি। অতর্কিত ভাবে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। যে কারণে তিনি মালামাল সড়িয়ে নিতে আগতদের কাছে তিন দিন সময় দাবী করেন। তবে তাকে সে সময় দেয়া হয়নি।