অনিয়ন্ত্রিত বেপরোয়া ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা-ইজিবাইক চলাচলে নাকাল ফরিদপুর বাসী। এদের বেপরোয়া চলাচলে চরম বিপাকে ফায়ার সার্ভিস, এ্যাম্বুলেস, পুলিশ, প্রশাসন, সাংবাদিকসহ জরুরি সেবাদানকারী সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন গাড়ী। অদক্ষ জ্ঞানহীন অটোরিকশা- ইজিবাইক চালকদের গাড়ীচালানো দেখে যে কারো মনে হবে এই সড়কটি শুধুমাত্র অটোরিকশা-ইজিবাইক চলাচলের জন্যই তৈরী করা হয়েছে। ফলে ফায়ার সার্ভিস, এ্যাম্বুলেন্স, পুলিশ, প্রশাসন, সাংবাদিকসহ জরুরি সেবাদানকারী সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন গাড়ীর যেন বিন্দুমাত্র সম্মান টুকো নেই এসকল অটোরিকশা-ইজিবাইক চালকদের কাছে। গোয়ালচামট হাজরাতলা র্যাফেলস ইন মার্কেটের ব্যাবসায়ী তুহিন মিয়া জানান, চোখের সামনেই দেখি এরা ফায়ার সার্ভিস, এ্যাম্বুলেন্স গাড়ীকে সাইড তো দেয়ই না, বরং ফায়ার সার্ভিস, এ্যাম্বুলেন্স গাড়ীকে ওভারটেকিং করে আগে যাওয়ার চেস্টা করে। ওহাব মাতুব্বর নামে এক পথচারী জানান, অনিয়ন্ত্রিত বেপরোয়া অটোরিকশা-ইজিবাইক চলাচলের কারণে আমরা একটু রাস্তার পাশে দিয়ে হাঁটতেও পারিনা। মতিয়ার নামে এক প্রাইভেটকার চালক জানান, আমাদের গাড়ীর দ্রুতগতির কারণে প্রতি বছর সরকারকে হাজার হাজার টাকা ভ্যাট ট্যাক্স দেই,নিয়ম অনুযাযী দ্রুতগতি গাড়ী দেখা মাত্রই অটোরিকশা-ইজিবাইক চালকরা সাইড দিয়ে আমাদেরকে আগে যাওয়ার সুযোগ করে দেবে, অথচ তারা সাইড দেওয়াতো দূরেরকথা আমাদেরকে ওভারটেক করে আগে চলে যায়। রাস্তাটি মনে হয় ওদের বাবার সম্পত্তি, আমরা মনে হয় ভ্যাট ট্যাক্স দেইনা,ওদের মত ফ্রি ফ্রি চলি। অটোরিকশার এক যাত্রী জানান, অটোরিকশা আর ইজিবাইক চালকরা দখল করে রেখেছে ফরিদপুর শহরটাকে এবং যাত্রীদের ঠকিয়ে তাদের ইচ্ছামত ভাড়া আদায় করছে। আবার অনিয়ন্ত্রিত বেপরোয়া চলার কারণেই শহরজুড়ে যানজট দিনের পর দিন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। এ যানজট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোনো উদ্যোগই নিচ্ছেনা। আগে দেখা গেছে ঈদ বা কোনো বিশেষ দিনগুলোতে শহরে যানজট তীব্র আকারে ধারণ করতো কিন্তু বর্তমান সময়ে কোনো বিশেষ দিন না থাকলে ও প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই থাকে এছাড়া অদক্ষ চালকরা ট্রাফিক আইন না মেনে যেখানে সেখানেই গাড়ি পার্কিং করা, প্রতিযোগিতা দিয়ে ওভারটেকিং করা সহ বর্তমানে অটোরিক্সা-ইজিবাইকের জট লেগেই থাকে শহরের নতুন বাসষ্ট্যান্ড, পুরান বাসষ্ট্যান্ড, হাজরাতলা র্যাফেলস ইন এর মোড়, জনতা ব্যাংকের মোড়, সুপার মার্কেটের মোড়, সদর হাসপাতালের সামনে, হাজি শরীয়াতুল্লাহ বাজার, থানা রোড, চকবাজার, নিউ মার্কেট ফলপট্রির গেট ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে। অন্যদিকে সড়কে যানবাহন বাড়তে থাকায় ট্রাফিক পুলিশও হিমশিম খাচ্ছে। দূর্গা পূজার আয়োজন চলছে, তাই বর্তমান সময়ে যানজট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে,অটোরিকশা-ইজি বাইকের জন্য আলাদা লেন তৈরি করা সময়ের দাবি হয়ে পড়েছে, তানাহলে পরিস্থিতি দিনদিন আরো জটিল আকার ধারণ করবে এবং রাস্তায় জানবহন চলাচল আরো দুর্বিষহ হয়ে পড়বে বলে মনে করেন শহরবাসী।