বর্তমান সময়ে ডেঙ্গু আতঙ্কের নাম হলেও প্রাথমিক অবস্থায় এ রোগের চিকিৎসা গ্রহণে মুক্তি পাওয়া যায়। ডেঙ্গুজ্বরের জীবাণুবাহী মশা কোনো ব্যক্তিকে কামড়ালে সেই ব্যাক্তি চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়।সবচেয়ে পীড়াদায়ক রোগের মধ্যে ডেঙ্গু অন্যতম।বিশেষ করে গরম ও বর্ষার সময়টাতেই ডেঙ্গুজ্বরের প্রকোপ বেশি থাকে।দেশের বিভিন্ন জেলায় ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু।সাধারণত শহরাঞ্চলে এর প্রাদুর্ভাব বেশি হয়।মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে তুলনামূলক নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ।সেরকম লক্ষণীয় হারে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হতে দেখা যায় নিয়ে।তবে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে মারা যাওয়ার ঝুঁকিও বেশি। এবিষয়ে জানতে চাওয়া হলে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা.সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী জানানা,চলতি মাসে দু’জন ব্যক্তি ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়। চিকিৎসার মাধ্যমে দু’জনকেই সুস্থ করতে সক্ষম হই।এছাড়াও তিনি বলেন যেহেতু এ রোগের কার্যকর কোনো প্রতিষেধক এখনো আবিষ্কৃত হয়নি তাই এর বিস্তার রোধে সচেতনতা অবলম্বন ব্যতীত কোন বিকল্প নেই। একমাত্র সচেতনতার মাধ্যমেই আমরা নিরাপদ থাকতে পারি।স্বচ্ছ পানিতে এডিস মশা বংশবৃদ্ধি করে।তাই বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে,যাতে মশার বংশবৃদ্ধি রোধ করা যায়।ঘরের ফুলদানি,অব্যবহৃত কৌটা বা যেকোনো পাত্রে যেন পানি না জমে তা লক্ষ্য রাখতে হবে। মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে হবে।শুধু দিনে নয় রাতেও সারা শরীরে মশা নিরোধক ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। ঘুমানোর আগে মশারি ব্যবহার ডেঙ্গু প্রতিরোধের সর্বোত্তম পন্থা।