ফরিদপুরের ভাঙ্গায় লালন আনন্দধামে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার কাউলিবেড়া ইউনিয়নের মোটরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়ে লালন ফকিরের ছবি, বেশ কিছু মূল্যবান গ্রন্থ ও নথি পুড়িয়ে দিয়েছে। তারা একতারা, দোতারা, বায়া, জুড়ি, গিটারসহ বিভিন্ন ধরনের বাদ্যযন্ত্রেও আগুন ধরিয়ে দেয়। পাশাপাশি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভাস্কর্য ভাঙচুর করে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।
স্থানীয়রা জানান, ২০১৩ সালে কাউলিবেড়া ইউনিয়নের মোটরা গ্রামে ৫১ শতাংশ জমির ওপর লালন আনন্দধাম প্রতিষ্ঠা করেন সদরপুর সরকারি কালেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ জাহিদ হাসান। এই আনন্দধামে নিয়মিত পাঠচক্র, লোক গান ও লালন সংগীত, রবীন্দ্র-নজরুল-জসীমউদদীন জন্মজয়ন্তী পালন করা হতো। আসরে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে আসতেন।
লালন আনন্দধামের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ জাহিদ হাসান জানান, কয়েকদিন আগে দুর্বৃত্তরা আনন্দধামের সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো ভাঙচুর করে। আনন্দধামটি সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা গাছ বেয়ে ভেতরে ঢুকে হামলা চালিয়েছে। তারা আনন্দধামের বিভিন্ন কক্ষ থেকে বই ও বাদ্যযন্ত্র এক জায়গায় এনে আগুন ধরিয়ে দেয়।
ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকছেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গা লালন আনন্দধামে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।