লাস নদীর ইজারা বাতিল চেয়ে মানববন্ধন করেছেন ৫ নং আখাইলকুড়া ইউনিয়নের ৫,৬,৭ নং ওয়ার্ডের এলাকাবাসী। পরে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মরকলিপি প্রদান করেন মঙ্গলবার সকাল ১১ ঘটিকার সময় মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব সম্মুখে আব্দুল কাদির রিপন এর সঞ্চালনায় ও শেখ আলী হায়দার জুনেল এর সভাপতিত্বে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, আ,স,ম সালেহ সোহেল,আহ্বায়ক কাওয়াদিঘি হাওর রক্ষা আন্দলোন কমিটি,খসরু চৌধুরী, সদস্য সচিব ( কাওয়াদিঘি হাওর রক্ষা আন্দোলন কমিটি),আলমগীর হোসেন, যুগ্ম সদস্য সচিব, ( কাওয়াদিঘি হাওর রক্ষা আন্দোলন কমিটি) রাজিব সূত্রধর, সাধারণ সম্পাদক ছাত্র ফ্রন্ট মৌলভীবাজার জেলা শাখা।রনি আহমদ মিজু (লাস নদীর ইজারা বাতিল আন্দোলন এর অন্যতম সদস্যসহ আরো অনেকে বক্তরা বলেন, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের প্রায় ৫০টি গ্রামের কৃষকবৃন্দ এবং একই সাথে কৃষকের-মৎস্যজীবীর স্বার্থে কাজ করা সংগঠন কাউয়াদিঘী হাওর রক্ষা আন্দোলন কমিটিরও সদস্য। আমরা প্রতি বছর বোরো মৌসুমে উল্লেখিত লাস গাং এর উভয় পাড়ে প্রায় কয়েক হাজার হেক্টর আবাদী বোরো জমি চাষাবাদ করে থাকি এবং এই নদীটি হচ্ছে আমাদের চাষাবাদের জন্য সেচের পানির একমাত্র উৎসস্থল। বর্ণিত অবস্থায় কৃষককূলের একমাত্র ভরসা বোরো ধানের উৎপাদন। বোরো ধানের উৎপাদন করতে হলে স্থানীয় লাস গাং (বদ্ধ) এর পানি ব্যবহার অনিবার্য এবং যুগ যুগ ধরে কৃষকেরা এই পানি ব্যবহার করেই ফসল উৎপাদন করছেন। কিন্তু বিগত সরকার কৃষক তথা স্থানীয় জনগণের কল্যাণ বিবেচনা না করেই একটি মৎস্যজীবি সমিতিকে লাস গাং ইজারা দেয় (কপি সংযুক্ত) এবং ইজারাদার ইজারা বিষয়ক নিয়মনীতি ভঙ্গ করে স্থানীয় কয়েকজনের কাছে সাব-ইজারা দেয় এতে ইজারাদাররা প্রতি বছর লাস গাং সেচের মাধ্যমে দীর্ঘদিন পানি শুকিয়ে রাখে এবং বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরে বিক্রি করে যার ফলে পরিবেশ প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে। পাশাপাশি কৃষকরা বোরো ধান রোপনের মৌসুমে সময়মত পানি না পাওয়ায় অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হন। এ নিয়ে এলাকার জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হযেছে।