মেহেরপুরের গাংনীর বাঁশবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দিপ্তি খাতুন ও রুহিনা খাতুন নামের দুই সহকারী শিক্ষিকাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মারধর,সহকর্মীদের সাথে অসৌজন্য মুলক আচরন ও স্কুলে সময় মত না আসা সহ নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুরে তাদের প্রত্যাহারের ঘোষনা দেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দীন। এর আগে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী দিপ্তি খাতুন ও রুহিনা খাতুনের বিচারের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ দেয়। গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা তার কার্যালয় থেকে উঠে শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে সভাকক্ষে বসিয়ে নাস্তা করান এবং তাদের নানা অভিযোগের কথা শোনেন এবং বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন। পরে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দীন শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে সন্ধানী স্কুলের একটি বাস যোগে বিদ্যালয়ে পৌছে দেন। ৫শ শ্রেনীর শিক্ষার্থী রাবেয়া বসরী,সাবিহা খাতুন ও ৪র্থ শ্রেনীর শিক্ষার্থী আসিয়া খাতুন বলেন, বাঁশবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দিপ্তি খাতুন ও রুহিনা খাতুন নামের দুই সহকারী শিক্ষিকা বেশ কিছুদিন যাবৎ শিক্ষার্থীদের মারধর অসৌজন্য মুলক আচরন করেন এছাড়া সময় মত স্কুলে আসেনা এসব অভিযোগ প্রধান শিক্ষিকার কাছে দিলেও কোন কাজ হয়নি। ৫শ শ্রেনীর শিক্ষার্থী দোয়া মনি বলেন, গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা স্যার আমাদের সাথে সুন্দর করে কথা বলেছেন এবং অভিযোগ শুনেছেন। অভিযোগ করতে আসা সকল শিক্ষার্থীদের নাস্তা করিছেন। এছাড়া স্যার আমাদের বিদ্যালয়ে পৌছে দেওয়ার জন্য একটি বাস ম্যানেজ করেছেন এবং আমাদের সাথে বাসে চড়ে বিদ্যালয়ে পৌছে দিয়েছেন আমরা স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞ। প্রধান শিক্ষক নুরুন্নাহার বলেন, শিক্ষার্থীদের সাথে অসৌজন্য মুলক আচরক করা ঠিক হয়নি। ইতোপূর্বেও নানা বিষয়ে দুই শিক্ষিকাকে নিষেধ করলেও তারা তা শোনেনি। তিনিও অসহায় বলে সাংবাদিকদের জানান। গাংনী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দীন বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দিপ্তি খাতুন ও রুহিনা খাতুন নামের দুই সহকারী শিক্ষিকাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ইতোপূর্বে তাদের বেতন বন্ধ সহ আইনী ব্যবস্থা নেয়া হলেও তারা তাদের আচরন পরিবর্তন করেনি। বাঁশবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা দিপ্তি খাতুন ও রুহিনা খাতুন বিদ্যালয়ে না থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা বলেন,কোমলমতি শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্ট করে এসেছে। শিক্ষার্থীদের কথা শুনে তদন্ত করা সহ সার্বিক বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছি। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তাৎক্ষনাক ঐ শিক্ষিকাদের প্রত্যাহারের ঘোষনা দিয়েছেন।