রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত বাংলাদেশ রেলওেয়ের পতিত জমিতে বৈধ ভাবে স্থাপিত মেট্রোপলিটন প্রেস ক্লাব নার্সারির ভেতরে গতকাল সকাল আনুমানিক সকাল ১১ টার সময় স্থানীয় নতুন এবং পুরাতন চাঁদাবাজ-দখলবাজদের একটি চক্র মিলে দখলে নেয়। যার নেতৃত্বে ছিল আলামিন,রুহুল,খোকনসহ কয়েকজন।
তারা সুকৌশলে কিছু ছাত্র পরিচয়ধারীকে অনৈতিক সুবিধার লোভ দেখিয়ে সাথে আনে বলে জানা যায়। যাদের মধ্যে কেউ কেউ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জড়িত ছিল এমন পরিচয় দেয় বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য একই প্রক্রিয়ায় তারা আরও কয়েকটি জায়গা দখল করেছে বলে স্থানীয়রা গণমাধ্যম কর্মীদের অভিহিত করে। বিষয়টি নিয়ে আমাদের প্রতিনিধি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা জেলার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এবং ছাত্রনেতা আপন হোসাইন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এরা কেউ আন্দোলনের সাথে যুক্ত থাকলেও থাকতে পারে। তবে আন্দোনকারীদের কাজ নয় অন্যের নার্সারি দখল করা। তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে ধরে দিতে বলেন। সরেজমিনে আমাদের প্রতিনিধি গিয়ে দেখতে পান নার্সারির চারাগাছ উপড়ে ফেলা হয়েছে। মেট্রোপলিটন প্রেস ক্লাবের ব্যানার ছিড়ে ফেলেছে নার্সারির বেড়া ভাংগে তার মধ্যে একটি টং দোকান বসিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
মূলত গত ২০ শে সেপ্টেম্বর এই চক্রটি প্রেসক্লাবের এই নার্সারি দখলে নিতে এলে ক্লাবের সদস্যরা জানতে পেরে এসে বাধা দেয়। তার আগে পরে বেশ কিছু চারাগাছ খোয়া যায়। যার আনুমানিক মূল্য ৪০ হাজার টাকা। ফলশ্রুতিতে ক্লাব কর্তৃপক্ষ স্থানীয় ভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে। স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা তাদের স্থাপিত টং দোকান না খোলার পরামর্শ দেয়। কিন্ত গত ২৯ তারিখে হঠাৎ কাহাকেও কিছু না জানিয়ে পেশী শক্তি ব্যবহার করে এই টং দোকান খোলে এবং প্রেসক্লাব সদস্যদের হুমকি ধমকী দিতে থাকে। ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে মেট্রোপলিটন প্রেস ক্লাব এর সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রানা বলেন, আমরা বৈধতার সাথে এখানে নার্সারি করেছি। সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল অবগত রয়েছেন।
সাধারণ সম্পাদক মিজান বিন নূর জানান,আশপাশের একটি চক্র দীর্ঘদিন যাবত প্রেস ক্লাবের এই নার্সারির গাছ চুরি ও দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এই মূহুর্তে আমাদের নার্সারির প্রায় অর্ধেক গাছের চারা চুরি গেছে। অতীতেও একাধিকবার এই চক্র গাছ চুরি করেছে। যার ক্ষতির পরিমান প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা। বেশ কয়েকবার আমরা থানায় অভিযোগও দিয়েছি । পুলিশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়ায় চুরি বন্ধ হয়েছিল। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি একটু অগোছালো হওয়ায় সেই চিহ্নিত চক্রটি চাঁদাবাজ-দখলবাজদের লেলিয়ে দিয়েছে। খুব দ্রুত আমরা তাদের বিরুদ্ধেও আইনী ব্যবস্থা নেব।
অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে ক্লাব কর্তৃপক্ষ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। ডায়েরি নম্বর – ১৬।
আমাদের প্রতিনিধি উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিববুল্লাহ এর সাথে ডায়েরির সততা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন – হ্যা ডায়েরি হয়েছে, আমরা কোর্টে পাঠিয়েছি। অনুমতি এলেই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।