বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি, সাংবাদিক সমাজের প্রিয় মুখ রুহুল আমিন গাজী আর নেই (ইন্নালিল্লাহি—রাজিউন)। মঙ্গলবার রাত ৯টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম এ খবর জানিয়ে বলেন, রাত ৯টায় রাজধানীর বিআরবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন রুহুল আমিন গাজী। তিনি এই হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন।
পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, রুহুল আমিন গাজী কিডনি সংক্রান্ত জটিলতায় আক্রান্ত ছিলেন। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে দীর্ঘ কারাবাসে তৈরি হয় তাঁর শারীরিক নানা জটিলতা। ব্যাক পেইন, উচ্চ ডায়াবেটিস, লবণ ঘাটতি (ইলেক্ট্রলাইট) সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছিলেন।
তিনি স্ত্রী, ২ মেয়ে, ১ ছেলে ও সহকর্মীসহ অসংখ্য গুনগ্রাহি রেখে গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
আগামীকাল বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বাদ জোহর জাতীয় প্রেসক্লাবে নামাজে জানাজা শেষে শাহজাহানপুর কবর স্থানে তাঁকে দাফন করার কথা রয়েছে।
বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর মৃত্যুতে বাসস পরিবারের পক্ষ থেকে সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করেছেন।
তিনি মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান ।
রুহুল আমিন গাজী চাঁদপুর সদরের গোবিন্দিয়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা মৌলভী কফিল উদ্দিন এবং মা আয়েশা খাতুন। সাংবাদিকদের র্শীষ সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) চতুর্থবারের মতো সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি বিএফইউজের মহাসচিব, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সাংবাদিক সমাজের দাবি আদায়ে এই বলিষ্ট কণ্ঠস্বর ওয়েজ বোর্ড গঠন ও বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তিনি আমৃত্যু দৈনিক সংগ্রাম-এর চীফ রিপোর্টার ছিলেন।
সাংবাদিক সমাজের অধিকার আদায়ের নিরন্তর সংগ্রামে সম্পৃক্ত এই প্রবীণ সাংবাদিক বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের রোষানলে পড়ে ১৭ মাসেরও বেশী সময় কারাবন্দি ছিলেন।
রুহুল আমির গাজীর মৃত্যুতে জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি কবি হাসান হাফিজ ও সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, ডিইউজে সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ ও সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
তারা পৃথক বার্তায় মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।