বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ৯ মাসের যুদ্ধে ৩০ লাখ তাজা প্রাণ ও ২ লাখ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে ও তাদের আত্মত্যাগের ফলে বাংলাদেশ স্বাধীন হয় আর এই স্বাধীন বাংলাদেশের রয়েছে আটটি বিভাগ , পুলিশী সেবার প্রয়োজনে তৈরি করা হয়েছে প্রতিটি বিভাগে একটি করে পুলিশের রেঞ্জ, এর মধ্যে খুলনা রেঞ্জ একটি অন্যতম । গত ৮ নভেম্বর ২০২২ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনে সই করেন সিনিয়র সহকারী সচিব সিরাজাম মুনিরা। এতে বলা হয়েছে, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ড. খ. মহিদ উদ্দিনকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর শিল্প পুলিশের ডিআইজি মঈনুল হককে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজির দায়িত্ব দেওয়া হলো। এরপর এই ডিআইজি দায়িত্ব পালন শুরু করেন খুলনা রেঞ্জের এবং পুলিশের কাজে গতি বাড়ানোর জন্য তিনি চেষ্টা চালিয়ে যান এরই ধারাবাহিকতায় ৭ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখ জেলা পুলিশ লাইন্স ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সাতক্ষীরা পরিদর্শন করেন এই জনাব মঈনুল হক বিপিএম(বার), পিপিএম, ডিআইজি, খুলনা রেঞ্জ ।
গত ৭ ডিসেম্বর ২০২২ খুলনা সাতক্ষীরা জেলায় পৌঁছান তিনি, সাতক্ষীরা জেলায় উপস্থিত হয়ে তিনি সাতক্ষীরা শহরের খুলনা রাস্তার মোড়ে স্থাপিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং বিনম্র শ্রদ্ধা জানান। এরপর তিনি সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ লাইন্সে পৌঁছালে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জনাব কাজী মনিরুজ্জামান, পুলিশ সুপার তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করেন। এরপর তিনি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে উপস্থিত হলে পুলিশ লাইন্সের একটি সুসজ্জিত দল তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন, অতঃপর সাতক্ষীরা জেলার পুলিশ সুপারের সভাপতিত্বে পুলিশ লাইন্স এ অনুষ্ঠিত “বিশেষ কল্যাণ সভা” অনুষ্ঠানে এই ডিআইজি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন। সাতক্ষীরা জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশের ভূমিকা করণীয় বর্জনীয়সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। সর্ব সময়ে মানুষের পাশে থেকে পুলিশি সেবা প্রদানের বিষয়টি কে সর্বাধিক গুরুত্বের সাথে দেখার জন্য মাঠ পর্যায়ের সকলকে নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বিট পুলিশিং কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করার জন্য এলাকার সর্বস্তরের জনগণকে সাথে নিয়ে কাজ করার জন্য দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। পরবর্তীতে সাতক্ষীরা জেলার পুলিশ সুপারের সভাপতিত্বে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি ডাঃ আবুল কালাম বাবলা, কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সদস্য জোসনা আরাসহ কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের অন্যান্য সদস্যদের সাথে মতিবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন এই ডিআইজি, পরবর্তীতে তিনি সাতক্ষীরা জেলার ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসার ও সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণের সাথে পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত অপরাধ পর্যালোচনা সভায় জেলার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন । এমইভাবে বিভিন্ন সময় , বিভিন্ন জেলায় তিনি উপস্থিত হয়ে দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকেন, সেজন্য সকলে উৎসাহিত হয়ে যার যার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে থাকেন । সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করায় খুলনা রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার নির্বাচিত করেন সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান কে । (১৭ ডিসেম্বর) ২০২২ রেঞ্জের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মঈনুল হক বিপিএম(বার) এর নিকট থেকে শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার হিসেবে পুরস্কার গ্রহণ করেন সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার। ওয়ারেন্ট নিষ্পত্তি, নিয়মিত মামলায় আসামী গ্রেফতার, মাদক উদ্ধার, অস্ত্র উদ্ধার, গুরত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, চোরাই মালামাল উদ্ধার, ভিকটিম উদ্ধার, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণসহ সাতক্ষীরা জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় খুলনা রেঞ্জ কর্তৃক শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার হিসেবে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারকে মনোনীত করা হয়। সে সময় সাতক্ষীরা বাসীর পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ও পুলিশ সুপারকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছিল।
এরপর সর্বশেষ খুলনা রেঞ্জের ১০ জেলার ৬৪ টি থানার মধ্যে শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত করেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাহব্বুর রহমান কাজলকে। (১৪ ফেব্রুয়ারী) ২০২৩ বেলা সাড়ে ১০টার সময় খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি এই মইনুল হক, বিপিএম ( বার) পিপিএম এর সভাপতিত্বে জানুয়ারী- ২০২৩ মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় । উক্ত সভায় ওয়ারেন্ট তামিল, মাদকদ্রব্য উদ্ধার ,আইন শৃঙ্খলা রক্ষা, মামলা নিষ্পত্তি সহ চুয়াডাঙ্গা সদর থানার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য মোঃ মাহাব্বুর রহমান কাজল, অফিসার ইনচার্জ, চুয়াডাঙ্গা সদর থানা কে খুলনা রেঞ্জ এই ডিআইজি মইনুল হক, বিপিএম ( বার) পিপিএম শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসাবে ঘোষণা করেন। আর এসব গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সকল পুলিশের কাছ থেকে প্রত্যাশা করেন । সম্প্রীতি কালে এমন একটি বক্তব্য রাখতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যা তুলে ধরা হলো – রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে গত ৩ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) ২০২৩ বাংলাদেশ পুলিশের বার্ষিক প্যারেড অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন- ‘জনগণের পুলিশ হিসেবে জনগণকে সেবা দিচ্ছে পুলিশ। জনগণের মনে যে আস্থা তৈরি হয়েছে, তা ধরে রাখতে হবে। আমরা চাই, আমাদের পুলিশ বাহিনী জনবান্ধব পুলিশ বাহিনী হিসেবেই মানুষের পাশে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরই দেশ গঠনে হাত দেন। পুলিশ বাহিনীকে আধুনিক করার কাজ শুরু করেন। ১৯৭৪ সালে তিনি প্রথম নারী পুলিশ নিয়োগ দেন। ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তিনি পারেননি। তিনি বলেন, ‘২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। আমাদের পুলিশ বাহিনীর মাত্র ২০ শতাংশ মানুষ রেশন পেত। তাদের থাকার জায়গা ছিল না। হাসপাতাল ছিল না। আমরা সেগুলো গড়ে তুলি। আমি একবার এখানে প্যারেড করতে পারিনি। আমরা এই প্যারেড গ্রাউন্ড গড়ে তুলি। পুলিশের বাজেট বৃদ্ধি করেছি। যতটা পুলিশের দরকার, সবরকম ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। সবার রেশনের ব্যবস্থা করেছি। অবসরপ্রাপ্তদেরও রেশনের ব্যবস্থা করেছি। ২০০০ সালে পুলিশ স্টাফ কলেজ স্থাপন করি। এখন তা আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হয়েছে। অনেক দেশ থেকে আমাদের পুলিশ স্টাফ কলেজে প্রশিক্ষণ নিতে আসছে।’ বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমরা পুলিশের উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করি। ১৯৯৮ সালে দেশের ইতিহাসে প্রথম জেলা পুলিশ সুপার পদে একজন নারীকে নিয়োগ করি। পুলিশের ঝুঁকিভাতা চালু করি। তিনি বলেন, আমরা ৫ কোটি সিড মানি প্রদান করে পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করি। ২৫টি থানা, ৮৬টি তদন্ত কেন্দ্র, ৫৮টি হাইওয়ে ফাঁড়ি, ১৫০টি পুলিশ ক্যাম্প এবং ১০টি ফাঁড়ি স্থাপন করি। ৮০৩ জন এসআই, ৫০৭ জন সার্জেন্ট এবং ১৪ হাজার ৬৮০ জন কনস্টেবল নিয়োগ করি। কমিউনিটি পুলিশ গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করি। শেখ হাসিনা বলেন, ধারাবাহিকভাবে তিন মেয়াদে সরকার গঠন করে বাংলাদেশকে আত্মনির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত করতে আমাদের সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ পুলিশকে আধুনিক ও জনবান্ধব করে গদে তুলতে আমরা বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। পুলিশের আধুনিকায়নে আমরা ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছি। বাংলাদেশ পুলিশে নতুন পদ সৃষ্টির মাধ্যমে পুলিশ কর্মকর্তাদের পদোন্নতিপ্রাপ্তির জটিলতা নিরসন করা হয়েছে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌপুলিশ, স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়ন এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের মতো বিশেষায়িত ইউনিট গঠন করেছি। এসব বিশেষ ইউনিটের দক্ষতা, সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়টি আমাদের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোয় নিরাপত্তা নিশ্চিতে আর্মড পুলিশের দুটি ও র্যাবের একটি ব্যাটালিয়ন গঠন করে কক্সবাজারে মোতায়েন করা হয়েছে। পার্বত্য জেলাগুলোয় আইনশৃঙ্ক্ষলা রক্ষায় তিনটি আর্মড পুলিশ মাউন্টেন ব্যাটালিয়ন গঠনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে ইতোমধ্যে পুলিশে অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ) এবং কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) গঠন করেছি। বাংলাদেশ পুলিশে ইতোমধ্যে ডিএনএ ল্যাব, আধুনিক ফরেনসিক ল্যাব, অটোমেটেড ফিঙ্গার প্রিন্ট আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম এবং আধুনিক রাসায়নিক পরীক্ষাগার স্থাপন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে প্রতিটি বিভাগীয় সদর দপ্তরে এ ধরনের ল্যাব স্থাপন করা হবে। তিনি বলেন, সাইবার অপরাধ মোকাবিলায় আমরা সিআইডিতে একটি সাইবার পুলিশ সেন্টার স্থাপন করেছি। এ ছাড়া ডিএমপির সিটিটিসিসহ পুলিশের অন্যান্য ইউনিটও সাইবার অপরাধ দমনে কাজ করছে। অচিরেই আমরা বাংলাদেশ পুলিশে একটি পূর্ণাঙ্গ সাইবার পুলিশ ইউনিট স্থাপন করবো এবং জেলা পর্যন্ত এ ইউনিটের শাখা বিস্তৃত করা হবে। তিনি বলেন, পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের অধীনে ইতোমধ্যে কমিউনিটি ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই ব্যাংকের মাধ্যমে সহজেই পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি সাধারণ জনগণও আধুনিক ব্যাংকিং সুবিধা ভোগ করছে। তিনি বলেন, পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসাসেবার জন্য কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালসহ বিভাগীয় পর্যায়ে পুলিশ হাসপাতালের উন্নয়নে আমরা কার্যক্রম উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ঢাকা বিভাগে একটি বিভাগীয় হাসপাতাল নির্মাণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। অন্যান্য বিভাগীয় শহরেও পুলিশ হাসপাতাল হবে। পুলিশ বাহিনীকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে উল্লেখ করে এ সময় প্রধানমন্ত্রী জানান, পুলিশের জন্য রাশিয়া থেকে দুটি হেলিকপ্টার কেনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ বাহিনীর জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ এভিয়েশন ইউনিট গঠনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন – করোনা মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়েছে। ভালো সময় আসলে আমরা আরও ব্যবস্থা নেব। তিনি বলেন, পুলিশ সবসময় মানুষের পাশে থাকে। প্রাকৃতিক, এমনকি মানবসৃষ্ট দুর্যোগে পুলিশ নিজের জীবন বিপন্ন করে মানুষের পাশে থেকেছে। ২০১৩-১৪ সালে অগ্নিসন্ত্রাসের সময় পুলিশও আক্রান্ত হয়েছে, প্রাণ দিতে হয়েছে। পুলিশ সদস্যরা জীবনবাজি রেখে এসব ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড রুখে দিয়েছে। এ ধরনের জঘন্য ঘটনা বাংলাদেশে আর যেন ঘটনা না ঘটে। তিনি আরো বলেন, জঙ্গি-সন্ত্রাসী বিশ্বব্যাপী একটি সমস্যা। হোলি আর্টিজানের ঘটনার সময় পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে গিয়েছিলেন। দুজন জীবন দিয়েছেন। পুলিশ বাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই, জঙ্গি-সন্ত্রাস, মাদক, মানবপাচারসহ সব অপরাধ প্রতিরোধে যথাযথ ভূমিকা পালন করছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে পুলিশ বাহিনী, বিশেষ করে মহিলা কন্টিনজেন্টের কাজের কারণে বিশ্বজুড়ে সুনাম বাড়ছে। তিনি বলেন, ৯৯৯ সেবার মাধ্যমে পুলিশ মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। পুলিশ নারী, শিশু বয়স্কদের জন্য প্রতিটি থানায় ডেস্ক স্থাপন করেছে। পুলিশের সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল এটি তিনি বলেন, ২০২০ সালে আমরা জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী, ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছি। কিন্তু করোনা, যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞায় বৈশ্বিক পরিস্থিতি বদলে গেছে। তিনি বলেন, কোথাও যেন এক ইঞ্চি জমি অনাবাদি না থাকে। বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা। এই ধাক্কা যেন বাংলাদেশে না আসে। আসুন, আমরা পুলিশ বাহিনীকে স্মার্ট পুলিশ বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলি।এবার ১১৫ জন পুলিশ সদস্য বিপিএম ও পিপিএম পদক পেয়েছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ ১ জানুয়ারি পদকপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপণ জারি করে। ২০২২ সালের অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এবার ১৫ জন পুলিশ সদস্য ‘বিপিএম’ এবং ২৫ জন পিপিএম পেয়েছেন। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ২৫ জন পুলিশ সদস্য ‘বিপিএম-সেবা’ এবং ৫০ জন ‘পিপিএম-সেবা’ পদক পেয়েছেন । আর প্রধানমন্ত্রীর এই প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছেন বর্তমান খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি তাই তাকে আজ গণমাধ্যমে তুলে ধরতে পেরে আমি আনন্দিত কারণ- এতে উৎসাহিত হয়ে সকলের দায়িত্বশীল ভাবে কাজ করার ইচ্ছে শক্তি আরো বেগমান হবে বলে আমি মনে করি। জনগণ যা প্রত্যাশা করেন সেরকমই একজন দায়িত্বশীল ডিআইজি এই মইনুল হক । আগামীতে হয়তো অন্য কোন দায়িত্বশীল পুলিশ অফিসার বা ব্যক্তিকে নিয়ে লিখব গণমাধ্যমে তুলে ধরার জন্য ।