মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নে ভাঙ্গা কালভার্টে বালি ফেলে চলাচল করছেন জনগন ও হালকা যান বাহন । নিশ্চিন্তপুর একটি কালভার্টের স্লাব ধসে পড়ে গেছে। এ কারণে সড়কটিতে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে লোকজন। স্লাব ভাঙ্গার জন্য ভারী যানবাহন চলাচলকে দায়ী করেছেন স্থানীয়রা। অনেক দিন ধরে ডুমাইন ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামে মোহাম্মাদ মোল্যা ও সাহেব আলীর বাড়ির পাশে গিয়ে দেখা যায় স্লাব ধসে পড়া কালভার্ট। নিশ্চিন্তপুর প্রাইমারী স্কুল রোড ও জনবহুল ইটের রাস্তা সড়কের মধ্যে নিচু এলাকার পানি বের হওয়ার জন্য কালভার্টটি নির্মিত হয়। এর ভাঙ্গা অংশের ওপর বালি ফেলে রাখা হয়েছে। তার ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে ছোট ছোট যানবাহন ও পথচারী। তাদের সতর্ক করার জন্য কালভার্টের মাঝখানে বালি ও ইট ছাড়া কোন চিহৃ নাই। কথা হয় পথচারীদের সঙ্গে তাদের ভাষ্য, অনেক আগে প্রবল বৃস্টি ও কালভাটঁ পুরাতন হওয়ার কারনে কালভার্টের স্লাব ধসে পড়ে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। যানবাহনগুলো কালভার্টের এক পাশ পর্যন্ত চলাচল করত। তবে স্থানীয় ইউপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম ও পাশের জনগন বালি ও ইট দিয়ে হালকাভাবে চলাচলের ব্যবস্থা করেন। তার পর থেকে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, সাইকেল, রিকশা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। ডুমাইন ইউপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম জানান, কালভার্টের স্লাব ধসে পড়ায় মানুষের দুর্ভোগ দেখে ভাঙা অংশে বালি ও ইট দিয়ে মানুষের চলাচলের ব্যবস্থা করেছেন জনগন ও তিনি তবে ভারী যানবাহন চরম ঝুঁকি। শিগগির একটি নতুন কালভার্ট নির্মাণের জন্য প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলবেন বলে দাবি তাঁর। মধুখালী উপজেলা স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী সোহেল রানা জানান, আপাতত ইট ও বালি দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে । তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করে নিশিন্তপুর গ্রামের ভাঙ্গা কালভার্টটি অপসারণ করা হবে। এরপর সেখানে নতুন একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। খুব শিগগিরই এই উদ্যোগ নেওয়া হবে।