মাদারীপুরের দুটি হত্যা মামলায় সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান ও সাবেক সংসদ সদস্য ড.আবদুস সোবহান গোলাপকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ রোববার সকালে মাদারীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাজিদ উল হাসান চৌধুরী আদালতে দুই আসামীর জামিনের আবেদন করা হয়। পরে আদালত জামিন না মঞ্জুর করেন কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেয়। এর আগে ব্যাপক পুলিশী পাহারায় মাদারীপুর কারাগার থেকে সাবেক দুই সংসদ সদস্যকে আদালতে তোলা হয়। পরে আদালতে আইনজীবির মাধ্যমে জামিনের আবেদন করলে শুনানী শেষে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতাকে আদালতে হাজির করাকে কেন্দ্র করে নেয়া হয় তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শাজাহান খান ও আব্দুস সোবাহন গোলাপ একাধিক হত্যা মামলায় দীর্ঘদিন থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মাদারীপুরে নিহত দীপ্ত ও তাওহীদ সন্নামত হত্যা মামলা আসামী ছিলেন এই সাবেক দুই এমপি। নিহতের ঘটনায় মাদারীপুরে দুই মামলা হয়। সেই মামলায় এজাহারভুক্ত আসামী ছিলেন শাজাহান খান ও গোলাপ। গত বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে মাদারীপুর কারাগারে হস্তান্তর করা হয় দুই সাবেক সংসদ সদস্যকে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত তাওহীদ সন্ন্যামাত ও দিপ্ত দে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় মাদারীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও মাদারীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ড. আবদুস সোবহান গোলাপকে। আসামী পক্ষরে আইনজীবী এডভোকটে বাবুল আক্তার জানান, মাদারীপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত তাওহীদ সন্নামাত ও দীপ্ত দে হত্যা মামলায় মাদারীপুর-২ আসনরে সাবকে সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রসিডিয়িাম সদস্য শাজাহান খান এবং মাদারীপুর -৩ আসনরে সাবকে সংসদ সদস্য ড. আব্দুস সোবহান গোলাপকে মাদারীপুর আদালতে হাজরি করা হয়। আমরা আসামীদের জামিন আবদেন করলে আদালত তাদের দুজনকে জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে।