বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘ওয়াজেদ আলী খান পন্নী: পূর্ববঙ্গের জাগরণের অগ্রনায়ক’ শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনা সভা আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোঃ আতাউর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বিশিষ্ট গবেষক জনাব খান মাহবুব। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদশে জাতীয় জাদুঘরের সমকালীন শিল্পকলা ও বিশ্বসভ্যতা বিভাগের কীপার জনাব শক্তি পদ হালদার। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব মোঃ আতাউর রহমান ব্রিটিশ শাসনবিরোধী আন্দোলনে ওয়াজেদ আলী খান পন্নীর মতো রাজনৈতিক নেতারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন বলে মন্তব্য করেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনে জনাব খান মাহবুব বলেন, ওয়াজেদ আলী খান পন্নী ছিলেন উদার ও অসাম্প্রদায়িক। শিক্ষার প্রতি ছিলো তাঁর অপার আগ্রহ ও আনুকূল্য। পূর্ববঙ্গের জমিদারদের অনুদারতা, ইংরেজ তোষণ নীতি ও প্রজা স্বার্থ বিরোধী কর্মে তিনি ছিলেন বীতশ্রদ্ধ। জমিদার হয়েও জমিদারদের বিরুদ্ধচারণ ও ব্রিটিশ বিরোধী- ক্রিয়াকর্মে পিছ্পা হতেন না তিনি। প্রথা পিড়িত জমিদারী ব্যবস্থায় ওয়াজেদ আলী খান পন্নী এক ব্যতিক্রম আলোক বর্তিকা। ব্যক্তি স্বার্থের চাইতে প্রজাদের স্বার্থ তাঁর কাছে অগ্রগণ্য ছিলো। যে সৃষ্টি ওয়াজেদ আলী খান পন্নীকে সবচেয়ে দ্যুতিময় করেছেন তা হলো ১৯২৬ সালে করটিয়ায় দাদার নামে প্রতিষ্ঠিত সাদত কলেজ। জমিদারের প্রতি তাঁর মতো সংশয়হীন আস্থা পূর্ববঙ্গে বিরল। এ আস্থার প্রতিদানে চাঁদ মিয়া বারবার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এক মহাপুরুষ। আলোচনায় অধ্যাপক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী ওয়াজেদ আলী খান পন্নীকে ১৮৭১ থেকে ১৯৩৬ সময়কালে নানামাত্রিক বিশ্লেষণ করেন। ওয়াজেদ আলী খান পন্নী ছিলেন প্রজাহিতৈষী, শিক্ষার প্রতি পৃষ্ঠপোষকতা, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, উপনিবেশকালে আন্দোলন, ভারতের মুসলিম জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, অসাম্প্রদায়িক চেতনা, দানশীলতা, রাজনৈতিক এবং প্রকাশনার ক্ষেত্রে অবদান নিয়ে আলোচনা করেন। উল্লিখিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি আপনার বহুল প্রচারিত সংবাদ মাধ্যমে প্রচার/প্রকাশ করার জন্য আপনাকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।