ঢাকা থেকে ভাঙ্গা জংশন হয়ে খুলনা পর্যন্ত নবনির্মিত রেললাইনে পরীক্ষামূলক ট্রেনটি ১০০ কিলোমিটার গতিতে চলল। রবিবার (২৪ নভেম্বর) এই পরীক্ষামূলক ট্রেনটি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের বামনকান্দা গ্রামের ভাঙ্গা জংশনে পৌঁছায় সকাল ১০টা ৩৩ মিনিটে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে ১০টা ৪০ মিনিটে ট্রেনটি খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। আগামী ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে ট্রেনটি চালুর সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার সাকিব আকন্দ বলেন, পরীক্ষামূলক ট্রেনটি ভাঙ্গা রেল জংশনে সকাল ১০ টা ৩৩ মিনিটে এসে পৌঁছায় । এটি ১০টা ৪০ মিনিটে ভাঙ্গা জংশন ছেড়ে গোপালগঞ্জ, নড়াইল, যশোর হয়ে খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। পরীক্ষামূলক ট্রেনটি চালু হওয়ায় আমরা আনন্দিত।
পরীক্ষামূলক ট্রেনে যাত্রী হিসেবে ছিলেন রেলপথ বিভাগের সচিব আ: বাকি, রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত হোসেন, রেলওয়ের পশ্চিম অঞ্চলের প্রধান কর্মকর্তাসহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও চায়না রেলওয়ে কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তগণ।
তিনি আরও জানান, ফরিদপুরের ভাঙ্গা জংশন থেকে যশোরের পদ্মবিলা স্টেশন পর্যন্ত ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেনটি চলবে। যশোরের পদ্মবিলা থেকে সিঙ্গিয়া হয়ে খুলনা পর্যন্ত ৭৫ কিলোমিটার গতিতে ট্রেনটির চলার কথা রয়েছে।
পরীক্ষামূলক ট্রেনটির লোকো মাস্টার মোঃ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ১২টি বগি নিয়ে ঢাকার কমলাপুর থেকে নড়াইল হয়ে খুলনা পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ট্রেনটির এটি তৃতীয় ট্রায়েল। পরীক্ষামূলক ট্রেনটি চালাতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। বাণিজ্যিকভাবে চালু হলে এ ট্রেনে মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টায় খুলনা থেকে ঢাকা পর্যন্ত যাত্রীরা যেতে পারবেন।
পরীক্ষামূলক ট্রেনের সহকারী লোকোমাস্টার গোলাম রসুল বলেন, পরীক্ষামূলক ট্রেনটি চালুর অংশ হতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে।
রাজবাড়ী রেলওয়ের ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মোঃ শফিকুর রহমান বলেন, পরীক্ষামূলক ট্রেনটির যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।