মাদক ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করতে এক মাসের আল্টিমেটাম মাদক বিরোধী সমাবেশে। রাজনগর মাদক বিরোধী নাগরিক কমিটি ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মাদকদ্রব্যের অপব্যাবহার ও অবৈধ মাদক ক্রয়- বিক্রয় রোধে এক বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।এই সমাবেশে তরুণ, যুবক,নারী,সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ যোগদেন।এর আগে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে উপস্থিত হন রাজনগরের বাসিন্দারা। গত শুক্রবার বিকেলে রাজনগর বকুলের মিলের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।দীর্ঘ ২০-২২ বছর পঞ্চগড় শহরের প্রাণ কেন্দ্র রাজনগড় নতুন বস্তি এলাকায় দশ থেকে পনেরো টি হরিজন সম্প্রদায়ের বাড়ির সামনে থেকে মাদক বিক্রি হচ্ছে। সন্ধ্যা নামলেই সড়কের পাশেই নারী মাদক কারবারিরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকে এই সময়ে ও পাশ দিয়ে কেউ যাতায়াত করলেই রীতিমতো টানা হেঁচরা করেন তারা। এতে সামাজিক সম্প্রীতি নস্ট হয়ে পঞ্চগড় পৌরসভা এলাকার যুব সমাজ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে।বাড়ছে চুরি,অনেকের বাসাবাড়ি থেকে শাড়ি,থ্রিপিছ ও বারান্দার বাল্ব চুরি করছে। এরই প্রতিবাদে পঞ্চগড়ের রাজনগড় বকুল মিলের মোড়ে মাদক এবং বাল্যবিবাহ বিরোধী বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে রাজনগড় মাদক বিরোধী কমিটির সমাবেশে কমিটির সভাপতি মনসুর আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা জাকির হোসেন, বিশেষ অতিথি পঞ্চগড় সদর থানার ওসি মাসুদ পারভেজ, সাবেক পৌর মেয়র ও জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তৌহিদুল ইসলাম সহ ছয়টি মসজিদের ইমাম, মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ এবং এলাকার তরুনরা বক্তব্য রাখেন।সমাবেশ টি সঞ্চালনা করেন হাফেজ মীর মুর্শিদ (তুহিন) বক্তারা জানান অবাধে চলাফেরার রাস্তায় জনসম্মুখে প্রতিদিনই ১০ থেকে ১৫ টি পরিবারের নারী পুরুষরা অবাধে মাদক বিক্রি করছেন। প্রশাসন জনপ্রতিনিধীদের কাছে বার বার অভিযোগ করেও মাদক ব্যবসা বন্ধ হয়নি। সাবেক পৌর মেয়র তার বক্তব্যে বলেন আগামি এক মাসের মধ্যে মাদক ব্যাবসায়ীদের উচ্ছেদ করা না হলে পঞ্চগড় জেলায় দূর্বার আন্দোলন করার ঘোষনা দেন তিনি। এ সময় ইউএনও’র কাছে মাদক ব্যবসায়ীদের একটি তালিকাও তুলে দেন তৌহিদুল ইসলাম । পরে ইউএনও এবং ওসি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন সেই সাথে রাতের বেলায় পাহারা বসানোর পাশাপাশি সদর থানা পুলিশের একটি দল টহলে থাকবে ও সিভিলে অনেকেই এখানে অবস্থান করবেন। মাদকের বিরুদ্ধে বিন্দু পরিমান ছাড় নেই বলে জানান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন।