দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অবৈধভাবে অস্ত্র রাখার অপরাধে জুয়েল রানা (২৫) নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। আজ রোববার দিবাগত রাতে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা তার নিজ বাড়ি থেকে ছেলেকে আটক করা হয়। আটককৃত যুবক ঘোড়াঘাট পৌরসভার মাছুয়াপাড়া এলাকার পান্না মিয়ার ছেলে। পেশায় সে একজন মাছ ব্যবসায়ী। অভিযানকালে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে পিস্তল ও গুলি রাখার কথা স্বীকার করে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার উতই-সাগর গ্রামে তার ভগ্নিপতি জুয়েল মিয়া (৩০) এর বাড়ি থেকে ৯ মি.মি একটি পিস্তল, ৮ রাউন্ড গুলি, একটি চাইনিজ কুড়াল, একটি খালি মদের বোতল ও একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে কথা হলে পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুলফিকার আলী ভুট্টু জানান, সেনাবাহিনীর মধ্যপাড়া পাথর খনির অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পের সদস্যদের পাশাপাশি পলাশবাড়ী থানা পুলিশ এ অভিযানে অংশ নেয়। গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পরে কোন এক সময় সে অস্ত্রটি কিনেছে। তবে কেন, কোথা থেকে কিনেছে তা তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে জানা যাবে। জুয়েল রানাকে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা আমাদের থানায় হস্তান্তর করেন। জুয়েল রানার ভগ্নিপতি তার বাড়িতে পিস্তল রাখার বিষয়টি জানতেন না বলে তিনি তার জবানবন্দিতে জানিয়েছেন, এজন্য তাকে সাক্ষী হিসেবে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু ও তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।