ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলা বড়িকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নোয়াব আলী, নবী সরকার, মামুন সরকার ও ইসতিয়াক মিয়া মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল সলিমগঞ্জ বাজারে গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়। গত ২১ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের দয়ালনগর গ্রামের রফিকুল ইসলাম নিহতের ঘটনায় মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ১০৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রফিকুল ইসলাম মারা যায় । এই ছেলে কে কেন্দ্র করে মোছাঃ সুফিয়া বেগম বাদী হয়ে ১০৭ জনকে মামলা দিয়ে থাকেন। তারমধ্যে বড়িকান্দি ইউনিয়নের মুক্তারামপুর গ্রামের চারজনকে আসামি করা হয়। আসামিরা এরা হলো ,চেয়ারম্যান নোয়াব আলী (৬৫), পিতা- ওয়াজেদ আলী, মামুন সরকার (৩৯), পিতা- চেয়ারম্যান নোয়াব আলী ৬০ সাং- মুক্তারামপুর (পূর্ব পাড়া), ইসতিয়াক মিয়া, পিতা- মোঃ সানু মিয়া, সাং- মুক্তারামপুর, পূর্বপাড়া, নবী সরকার (৪১) পিতা- মিলন মিয়া, সাং- মুক্তারামপুর (পূর্বপাড়া) । এই মানববন্ধনে আসামিদের পক্ষে ছলিমগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ীরা মুক্তারামপুর এলাকায় জনগন তাদেরকে নির্দোষ দাবি করে । তারা এই মামলাতে কোন ভাবে জড়িত না । তারা সমাজের অত্যন্ত ভালো মানুষ । আমরা তাদের মুক্তি চাই । এটি একটি হয়রানি মামলা তাদেরকে জড়ানো হয়েছে। মুক্তারামপুর ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও এলাকা জনগন বলেন তারা অত্যন্ত ভালো মানুষ, সলিমগঞ্জ বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ীরা ও এলাকারবাসীরা বলেন তারা এই মামলায় নির্দোষ তাদের কে মামলা থেকে প্রত্যাহার করা হোক । তারা কোনরকম এই মামলা সাথে জড়িত না । কারণ তারা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় আমাদের বাজারে নিজস্ব ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে ব্যবসা করছেন আমাদের সামনে । আমরা মনে করি তারা সম্পূর্ণ নির্দোষ । অন্তবর্তী সরকারের কাছে আমাদের আকুল আবেদন এই মিথ্যা মামলা থেকে এ চারজন আসামী কে মামলা থেকে খালাস দেওয়া হোক । পরিশেষে সুফিয়া বেগম এর বাবা ইউসুফ মিয়া বলেন আমার মেয়ে সাথে যোগাযোগ নাই সে কোথায় আছে আমি জানিনা।