নতুন নির্বাচন কমিশন জনগণের আশা পূরণে সফল হবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
রোববার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেনের সাক্ষাতের বিষয় সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, এটা (নতুন নির্বাচন কমিশনের শপথ) একটা ভালো পদক্ষেপ যেটা সবার প্রত্যাশা ছিল। এ যে সবাই জানতে চাচ্ছে নির্বাচনের রোড ম্যাপ কী, কবে নির্বাচন হবে, দেশি-বিদেশি স্টেকহোল্ডাররা সবাই তো অপেক্ষা করছে।
আমীর খসরু বলেন, আজকের শপথ নিশ্চয় একটা ভালো পদক্ষেপ, ভালো মেসেজ যাবে। তবে শপথ নেওয়ার পরবর্তী কার্যক্রম যেগুলো আছে সেগুলো আমরা আশা করি জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সফল হবে। একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে যত দ্রুত সম্ভব তারা এগিয়ে যাবে সেই প্রত্যাশা থাকবে আগামী দিনের জন্য।
তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়নি। নির্বাচন কবে তারা এটা জানতে চেয়েছে। সবাই তো চাচ্ছে একটা ট্রানজিশন করে ডেমোক্রেটিক অর্ডারে বাংলাদেশ কবে যাবে এ অপেক্ষায় তো সবাই আছে।
আমি আগেও বলেছি, দেশের ভেতরে ও দেশের বাইরে স্টেকহোল্ডাররা সবাই অপেক্ষা… আগামীদিনের বাংলাদেশ নিয়ে যাদের চিন্তা আছে, প্ল্যান আছে, যাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিষয় আছে তারা অপেক্ষা করছে কবে একটা পিসফুল ট্রান্সফরমেশন করে একটা ডেমোক্রেটিক অর্ডার ফিরে আসবে, একটা নির্বাচিত সরকার ও সংসদ হবে। যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে, জনগণের কাছে জবাবদিহি থাকবে এবং যার কারণে আগামীদিনের জন্য যেসব স্টেকহোল্ডাররা অপেক্ষা করছে তারাও সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
এর আগে দুপুর দেড়টায় সুপ্রিম কোর্ট জাজেজ লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ প্রথমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীনকে শপথবাক্য পাঠ করান। এরপর চার নির্বাচন কমিশনারকে শপথবাক্য পাঠ করান তিনি।