গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির মৃত্যুতে কিস্তিতে পণ্য কেনা ক্রেতার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন। সহজ কিস্তিতে মোবাইল ফোন কেনা মৃত মুকুল গাছু’র পরিবার প্রতিষ্ঠানটির ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষা নীতির’ আওতায় এ সুবিধা পেয়েছে। সম্প্রতি ক্রেতাদের জন্য ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষা নীতি’ চালু করেছে ওয়ালটন প্লাজা। এর আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তিতে পণ্য ক্রয়কারীদের কিস্তি সুরক্ষা কার্ড দেওয়া হচ্ছে। কিস্তি চলমান থাকা অবস্থায় ক্রেতার মৃত্যু হলে পণ্যমূল্যের ভিত্তিতে ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ এবং তার পরিবারের কোনো সদস্য মারা গেলে ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত সহায়তা দিচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পণ্যের অনাদায়ী কিস্তির টাকা সমন্বয়ের পর অবশিষ্ট টাকা ক্রেতা বা তার পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে। রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরে অবস্থিত ওয়ালটন প্লাজায় মৃত মুকুল গাছু’র স্ত্রী মোছাঃ মাসুদা বেগমের হাতে অর্থ তুলে দেওয়া হয়। এ সময় ওয়ালটন প্লাজা বগুড়া শাখার এরিয়া ম্যানেজার খন্দকার মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও বিশিষ্ট ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব শৈলেন্দু মোহন রায়। অনুষ্ঠানে গোবিন্দগঞ্জ ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজার মোঃ রবিউল করিমের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ওয়ালটন প্লাজা বগুড়া শাখার ক্রেডিট ম্যানেজার মোঃ রাসেল আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামলেন্দু মোহন রায়, গোবিন্দগঞ্জ সাংবাদিক এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও আনন্দ টিভির প্রতিনিধি উজ্জল হক প্রধান প্রমুখ। এ সময় গোবিন্দগঞ্জ ওয়ালটন প্লাজার কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। ওয়ালটন প্লাজা বগুড়া শাখার এরিয়া ম্যানেজার খন্দকার মিজানুর রহমান বলেন, ওয়ালটন সহজ কিস্তিতে পণ্য দিয়ে থাকে। সেই সঙ্গে যদি কিস্তি পরিশোধকালীন ক্রেতা বা তার পরিবারের সদস্য কেউ মারা যায়, তাহলে আর্থিক সুবিধা দেওয়া হয়। ওয়ালটন প্লাজা বগুড়া শাখার ক্রেডিট ম্যানেজার মোঃ রাসেল আহমেদ বলেন, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাতানা বালুয়া গ্রামের বাসিন্দা মুকুল গাছু। পেশায় তিনি একজন কৃষক। গোবিন্দগঞ্জ ওয়ালটন প্লাজা থেকে তিনি চলতি বছরের ১০ জুন কিস্তিতে ২১ হাজার ৫১৮ টাকার একটি মোবাইল ফোন কেনেন। গতমাসে তিনি অসুস্থতার কারণে মারা যাওয়ায় কিস্তি সুরক্ষা প্রাপ্ত নমিনী হিসাবে তাঁর স্ত্রী মোছাঃ মাসুদা বেগম ৫০ হাজার টাকা পেয়েছেন। তবে এই টাকা থেকে তার অপরিশোধিত কিস্তির টাকা সমন্বয় করা হয়েছে। কিস্তি সুরক্ষা প্রাপ্ত নমিনী মোছাঃ মাসুদা বেগম বলেন, ৩ মাস আগে আমার স্বামী গোবিন্দগঞ্জ ওয়ালটন প্লাজা থেকে ৫ হাজার টাকা জমা দিয়ে কিস্তিতে সাড়ে ২১ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোবাইল কেনেন। গতমাসে তিনি আকস্মিক মৃত্যুবরণ করেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তির মৃত্যুতে ৩ সন্তান নিয়ে আমি হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। তখন ওয়ালটন প্লাজা থেকে আমার সাথে যোগাযোগ করে তারা আমাকে কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষা নীতির আওতায় ৫০ হাজার টাকা প্রদানের কথা বলেন। আজ সেই টাকা হাতে পেয়ে খুব উপকৃত হলাম। এই টাকা দিয়ে আমি একটি গাভী কিনে স্বাবলম্বী হতে পারবো। বিপদের দিনে আমার পাশে দাঁড়ানোর জন্য ওয়ালটন প্লাজাকে ধন্যবাদ জানাই।