জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক কবি, প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক মিনার মনসুর বলেছেন,বর্তমান সরকার বই বান্ধব সরকার। দেশের সরকারী বেসরকারী গ্রন্থাগার উন্নয়নে আন্তরিকভাবে কাজ করছে। বিশেষ করে তৃণমূলের গ্রন্থাগার উন্নয়নে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে এ খাতে আরও বাজেট বাড়াতে সরকারের কাছে সুপারিশ মালা তুলে ধরেছেন বলেও জানিয়েছেন। গত ২৩ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেলে কিশোরগঞ্জের বেসরকারী গণগ্রন্থাগার প্রতিনিধিদের সাথে জেলা সরকারী গণগ্রন্থাগারের অডিটরিয়ামে মতবিণিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি জেলার গ্রন্থাগারগুলির সমস্যা সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করেছেন। তিনি আরও বলেন,তরুণ ও কিশোরদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু চর্চার প্রসার ঘটানোটা খুবই জরুরি বলে আমি মনে করি। কিশোর-তরুণরা সব সময় অনুসরণ করার মতো উদাহরণ খোঁজে। তাদের জীবন গঠনের জন্য বঙ্গবন্ধুর চেয়ে উৎকৃষ্ট উদাহরণ আর কী হতে পারে! বঙ্গবন্ধু যেমন লেখক ছিলেন ও লেখকদের উন্নয়নে কাজ করেছেন তেমনি বই বন্ধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের লাইব্রেরিয়ান আজিজুল হক সুমনের সভাপতিত্বে ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা বেসরকারী গণগ্রন্থাগার সমিতির সভাপতি আমিনুল হক সাদীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম পৌর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ শরীফ সাদী, জেলা বেসরকারী গণগ্রন্থাগার সমিতির সভাপতি রুহুল আমিন,সহসভাপতি মো: ফিরোজ উদ্দিন ভূঁইয়া,বোরহান উদ্দিন ঠাকুর, বাজিতপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান অ্যড. শেখ নুরুন্নবী বাদর, প্রফেসর ডা: মুহি উদ্দিন আহমেদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা ডা: ছিদ্দিক হোসাইন। আরও বক্তব্য রাখেন, কবি রফিকুল ইসলাম খোকন, কবি মুখলেছুর রহমান আকন্দ, মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, কবি শামীম রেজা,ডা: মাহফুজা সুলতানা রুমা, শিল্পী বাবুল ভুঁইয়া প্রমুখ। এর আগে প্রধান অতিথিকে জেলা সরকারী গণগ্রন্থাগারের লাইব্রেরিয়ান ও বেসরকারী গণগ্রন্থাগার সমিতির নেতৃবৃন্দ ফুলের তোগা দিয়ে বরণ করে নেন। এ সময় জেলার বেসরকারী গণগ্রন্থাগার সমিতির দায়িত্বশীলগণ ও জেলার বিভিন্ন উপজেলা হতে আগত গ্রন্থাগার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।