মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় গতকাল রবিবার সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত উপজেলার দশটি ইউনিয়নে কোন বাজারে সরকারি দামে মিলছে না আলু, ক্রেতাদের নানা অভিযোগ। উপজেলা প্রশাসনের প্রতি কেজি আলু ৩৭ টাকা দামে নির্দেশে দিয়েছে। গত সপ্তাহের সরকারি দামে আলু বিক্রির নির্দেশ দিয়ে বিভিন্ন হাট বাজারে মাইকিং করা হয়েছে।নির্দেশ অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থার গ্রহণের হুঁশিয়ারি প্রদান করা হয়েছে। তবে কেউ মানছে না নির্দেশ।নেই কোন ভ্রাম্যমান আদালত বা অভিযান।
লৌহজং হাটবাজারে প্রতি কেজি আলু বর্তমানে ৪৩/৪৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে । বিভিন্ন হাটবাজারে সাথে তাল মিলিয়ে তারা বিক্রি করছে বলে দাবি বিক্রয় তাদের। সরকারি মূল্যে আলু ক্রয় করাটা অনেকটা অস্বাভাবিক ব্যাপার বলছেন বিক্রোতা ।তবে সরকার নির্দেশনা মান্য করতে মাইকিং বিষয়টিও তারা স্বীকার করেন ।তারা খবর রাখছেন এ পর্যন্ত কোন বাজারে সরকারি নির্ধারিত মূল্য বিক্রয়ের জন্য কোন কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা হয়নি।
নিয়মিত পছন্দের আলু ক্রয়তা যিনি মাছ এবং মাংসের সাথে আলু খাওয়া পছন্দ করে মোঃ সেন্টু শেখের সাথে কথা বলে জানা যায়, আগের চেয়ে আলুর কিছুটা কম। তবে সরকারি মূল্য আলু পাওয়া যাচ্ছে না।আজ মালিঅংক বাজার থেকে ৪৫ টাকা করে আলু কিনেছি । সরকার নির্ধারিত মূল্য নানান অজু হতে অনেকে এখানে মানছেন না। মাইকিং কড়াই সাধারণ ক্রেতারা সচেতন হয়েছে তবে প্রশাসনকে নেই কোন পদক্ষেপ। অতিরিক্ত মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করছি।
গৃহিণী মাহমুদা আক্তার বলেন, বালিগাঁও বাজার, কনকসার, হলদিয়া কোথাও সরকারি দামে বিক্রি হচ্ছেনা আলু। এছাড়াও বিভিন্ন বাজারে আলুর খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরকারি মূল্যের আলো বিক্রি হচ্ছে না। অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে অতিরিক্ত মূল্যে আলু কিনতে হচ্ছে।যে পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসন কঠোর ভাবে আইন মানতে বাধ্য না করবে। সে পর্যন্ত সরকারি দামে আলু ক্রয় সম্ভব হবে না ।
মালিঅংক বাজার সবজি ব্যবসায়ী মোঃ রহিম জানান, আমরা এই বাজারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি সরকারি নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রি করার জন্য। তবে পাইকারি মূল্য ও পরিবহন খরচের পর প্রতি কেজি ৩৭ টাকা বিক্রয় করা সম্ভব হচ্ছে না ।
লৌহজং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী মোঃ ইলিয়াস শিকদার জানান, প্রত্যেকটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধিকে আমরা সরকারি নির্দেশনা মানতে চিঠি দিয়েছি। আমরা জানতে পেরেছি তারা মাইকিং করে ইউনিয়নবাসীকে জানিয়েছেন। আমি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি যে সরকারি দামে অনেক ব্যবসায়ী আলু বিক্রি করছে না। অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকায় বাজার নিয়ন্ত্রণে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।আশাকরি দু-একদিনের মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করলে বাজার নিয়ন্ত্রণে এসেবে । সে যেই হোক কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।