পিরোজপুরের নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) উপজেলার জগন্নাথকাঠি -চাঁদকাঠি সড়কটির বেহাল দশা। দীর্ঘদিনেও সড়কটির সংস্কার না হওয়ায় কার্পেটিং উঠে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে খানা খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সড়ক যোগাযোগ চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিঘ্নিত হচ্ছে যানবাহনসহ পথচারী চলাচল । চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের জনসাধরণ। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, জগন্নাথকাঠি (ইন্দুরহাট ফেরিঘাট) থেকে গুয়ারেখা ইউনিয়নের চাঁদকাঠি বাজার পর্যন্ত স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) সড়কটির ১৬ কিলোমিটারের মধ্যে ১২/১৪ কিলোমিটারের অবস্থা বেহাল। প্রায় দু’বছর আগে সড়কের দু’প্রান্তে ১ কিঃ মিঃ করে মোট ২ কিঃ মিঃ সড়ক সং¯কারের কাজ করানো হয়। সড়কের বাকী অংশ দীর্ঘদিনেও সংস্কার না হওয়ায় কার্পেটিং উঠে গিয়ে অসংখ্য ছোট বড় গর্ত আর খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রায়ই ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা । সড়কটির করুন দশার ফলে হাজার হাজার মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ অসুস্থ রোগীদের। জেলা শহর পিরোজপুর ও খুলনার সাথে সড়ক যোগাযোগের সহজ পথ এটি এবং সন্ধ্যানদীর পশ্চিম পাড়ের ছয় ইউনিয়নের মানুষের উপজেলা সদর ও বিভাগীয় শহর বরিশালের সাথে যাতায়াতের জন্য এ সড়কটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন এ সড়কে শত শত ইজিবাইক, বৌগাড়ি (স্থানীয় ভাষায়),মোটর সাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। সোহাগদল গ্রামের ইজিবাইক চালক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, সড়কের বর্তমান অবস্থা অত্যান্ত নাজুক।। বর্ষা মৌসুমে গাড়ী চালানো কষ্টকর হয়ে দাড়াবে। সংস্কারবিহীন এ সড়ক নিয়ে স্থানীয় মানুষের মাঝে যেন ক্ষোভের অন্ত নেই। ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এ নিয়ে লেখালেখি করছেন নেটিজনেরা। সারেংকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উপাধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দীর্ঘদিনেও সংস্কার না হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। জনস্বার্থে অতি দ্রুত সড়কটি সংস্কার করা প্রয়োজন বলে তিনি জানান। এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী শেখ মো. তৌফিক আজিজ বলেন, চাঁদকাঠির কালীগঙ্গা নদীর ওপর ব্রিজের নির্মাণ কাজ চলছে । সড়কটির দুই পার্শ্বে ৬ ফুট চওড়া করা এবং সংস্কার কাজের জন্য সড়ক প্রশস্ত করণ প্রকল্পের আওতায় একটি প্রাক্কলন তৈরী করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। প্রাক্কলনটি অনুমোদন ও প্রয়োজনীয় টাকা বরাদ্দ পেলে সড়ক প্রশস্থ করণসহ সংস্কার কাজ শুরু করা হবে বলে তিনি জানান।