রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে পরামর্শ করুন সমস্যা কেটে যাবে এবং ভুল কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। যে ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে গণঅভ্যুত্থান হলো তাদের রাজপথে প্রতিবাদ করতে হচ্ছে এর চেয়ে দূর্ভাগ্য আর কি হতে পারে। কোনটা আগে করবেন কোনটা পরে করবেন সেটাই ঠিক করতে পারেন না। দুর্নীতিবাজ, খুনীরা পালিয়ে গেল। তাদের ধরতে পারলেন না। তাদের শাস্তি দেবেন কি করে। অন্যরা তো ক্ষমতায়ই ছিল না, তাহলে তাদের ব্যাপারে আপনাদের বিরূপ মন্তব্য কেন থাকবে। কর্মজীবন শেষ করে অনেকেই রাজনীতিবিদ হতে চান। এমপি-মন্ত্রী হয়ে নিজের কৃতিত্ব জাহির করতে চান। বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীরা ক্ষমতায় ছিল। আমরাতো অনেক দিন ভোটই দিতে পারলাম না। আপনারা বলছেন নির্বাচনের জন্য অভ্যুত্থান হয়নি, তাহলে কিসের জন্য অভ্যুত্থান হলো ? ভোট একটি অন্যতম মৌলিক অধিকার। এদেশের মানুষতো দীর্ঘকাল ভোটের জন্যই আন্দোলন করেছে। পাকিস্তান আমলে আন্দোলন করেছে, মুজিব আমলে আন্দোলন করেছে, শেখ হাসিনার আমলেও আন্দোলন করেছে। শেখ মুজিব রাজনীতিবিদ হয়েও রাজনীতিকে নিষিদ্ধ করেছেন। আর জিয়াউর রহমান রাজনীতিবিদ না হয়েও বহুদলীয় রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করেছেন। রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ২য় তলার তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে জাগ্রত বাংলাদেশ’র উদ্যোগে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমান সহ সকল রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জাগ্রত বাংলাদেশ’র সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম কলিম এর সভাপতিত্বে ও জাগ্রত বাংলাদেশ’র সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহীন এর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, সাবেক ছাত্রনেতা, সম্পাদক ও প্রকাশক দৈনিক আজকের জীবন সফিকুর রহমান সফিক, প্রজন্ম একাডেমি’র সভাপতি লেখক ও গবেষক কালাম ফয়েজী, যুব দল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক এস.এম মিজানুর রহমান, ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. মনিরুল ইসলাম সোহাগ, জাগ্রত বাংলাদেশ’র সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা রমিজ উদ্দিন রুমী, রাজু আহমেদ শাহ, প্রজন্ম একাডেমি’র অর্থ সম্পাদক আবু হায়দার, মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম’র সাধারণ সম্পাদক ও প্রতিবাদ’র সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সিনিয়র সহ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, শোয়েব কোরাইশী, আবুল হোসেন দুলাল প্রমুখ।