ঢাকার ধামরাইয়ে শ্রমিকদের নির্যাতন বন্ধ ও গার্মেন্টস এর বাস দূর্ঘটনায় শ্রমিক নিহতের ঘটনায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের শ্রীরামপুর এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে গ্রাফিক্স পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। এতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে এই বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকরা। এর আগে আজ বুধবার (২০নাভেম্বর) দিনগত রাত ১০টার দিকে কারখানার ছুটির পর কারকানার একটি বাসে করে বাসায় যাওয়ার উদেশ্য শ্রীরামপুর থেকে কাওয়ালীপাড়া যাওয়ার পথে খাগুর্তা এলাকায় পৌছালে বিপরিত দিক থেকে ইট বোজায় একটি ট্রাকের সাথে মুখমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলে চারজনের মৃত্যু হয়। এতে প্রায় ৩০শ্রমিক আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন বলে জানা যায়। নিহতরা হলেন, ধামরাই উপজেলার আমতা ইউনিয়নের বড় জেঠাইল গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, একই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের দুনিগ্রামের মোঃ খবির উদ্দিনের মেয়ে লিপা আক্তার। বাকি দুইজনের নাম ঠিকানা এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধামরাই থানার (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম। কারখানার শ্রমিক ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে কারখানার একটি বাস ও ট্রাক মুখমুখি সংঘর্ষে চারজন শ্রমিক নিহত হয়েছে এবং প্রায় ৩০জন শ্রমিক আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। কিন্তু মালিক পক্ষ এর কোন ব্যবস্থা না করার কারণে আজ সকালে শ্রমিকরা অফিসে থেকে বের হয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এই সময় তারা বলেন, নিহত শ্রমিকদের পরিবারের লোকজনের নিয়ম অনুয়াযী টাকা দিতে হবে এবং আহত শ্রমিকদের চিকিৎসার ব্যবস্থা কওে দিতে হবে। এছাড়া নিহত শ্রমিকের পরিবারের লোকজনকে চাকরী দিতে হবে। সেই সাথে কারখানার ভিতরে কোন শ্রমিককে নির্যাতন ও ছাঁটায় করতে পারবে না। বিক্ষোভের এক পর্যায় শ্রীরামপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এতে সড়কের দুই পাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছিয়ে পরিস্থিতি নিয়তন্ত্রের চেষ্টা করেন। এক পর্যায় শ্রমিকদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে বেলা দেরটার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করে সড়ক থেকে চলে যান। এই বিষয়ে ধামরাই থানার এসআই মোঃ সাখাওয়াত হোসেন জানান, সকাল থেকে গ্রাফিক্স গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকরা সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের পরিবারের সহায়তা এবং আহতের চিকিৎসার ব্যবস্থা ও শ্রমিক নির্যাতন বন্ধের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। এতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এই সময় পুলিশ গিয়ে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে দেরটার দিকে তারা অবরোধ প্রত্যহার করেন। এরপর যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।