বগুড়ায় আলুর বাজারে আগাম জাতের নতুন আলু উঠতে শুরু করেছে। বাজারে অল্প পরিমাণ নতুন আলু দেখা গেলেও দাম হাঁকা হচ্ছে আকাশছোঁয়া। জানা যায়, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পঞ্জিকা অনুযায়ী রবিবার শুভ নবান্ন উৎসব। এই উৎসব উপলক্ষে জামাইসহ আত্মীয়স্বজনদের নিমন্ত্রণ এর মাধ্যমে আপ্যায়ন করা হয়।খাদ্য তালিকায় সুস্বাদু বড় মাছ ও নতুন আলুসহ শাকসবজি থাকে। আর একারণেই বাজারে নতুন আলুর চাহিদা অনেকটা বেড়ে যায়। ব্যবসায়ীরা নবান্ন উৎসবকে ঘিরে বাজারে নতুন আলু নিয়ে আসে। রোববার সকাল ১১ টার দিকে সরজমিনে বাজার ঘুরে দেখা যায় ,বগুড়া শহরের কলোনি বাজার ও রাজা বাজারসহ বেশ কয়েকটি দোকানে নতুন আলু বিক্রি করা হচ্ছে । এতে লাল পাকড়ী জাতের আলু প্রতি কেজি ৩৪০-৪০০ টাকা, আর ছোট সাইজের আলু ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত খুচরা বাজারে বিক্রি করছে। তবে শনিবার গত ১৬ ই নভেম্বর এই একই আলু প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা। এক দিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি ১২০ থেকে ১৫০ টাকা দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে রাজা বাজারের খুচরো ব্যবসায়ীকরা বলছে, ১৬ নভেম্বর শনিবার, আমদানি বেশি থাকার কারণে একটু কম দামে পাওয়া গেছে, আজকে রবিবার বাজারে আলুর আমদানি কম চাহিদা অনেক বেশি, তাই চাহিদা অনুযায়ী পাইকারি বাজারে আলু পাওয়া যায়নি। এজন্য আজকে বাজারে নতুন আলুর দাম অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। বগুড়া শহরের রাজা বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী মুকুল হোসেন বলেন,বাজারে নতুন আলু উঠেছে, আকারে বড় না হলেও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নবান্ন উৎসবের কারণে দাম ভালো পাওয়ার জন্য কৃষকরা বিক্রি করছে। তাই বেশি দামে কিনে বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। বগুড়া শহরের কলোনি বাজারের সবজি কিনতে আসা পলাশ রায় বলেন,বাড়িতে নবান্নের আয়োজন করছি এজন্য বাসায় কিছু আত্মীয়-স্বজন এসেছে। নবান্ন উৎসব উপলক্ষে বাজার থেকে নতুন আলু এক কেজি কিনলাম ৪০০ টাকা দিয়ে। বাড়িত নতুন আলু দেখলে সবাই খুশি হবে। কারণ এখন নতুন আলু বাজারে আসতে আরও কিছুদিন অপেক্ষায় থাকতে হবে। তাই দাম বেশি হলেও ৪০০ টাকা দিয়ে এক কেজি আলু নিলাম। বগুড়া শহরের রাজা বাজারের নতুন আলু কিনতে আসা সুকুমার ঘোষ বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় আমাদের পরিবারে নবান্ন উৎসব পালন করা হয়। তাই প্রতি বছরের ন্যায় এবারও এই উৎসব পালনে বাজারে নতুন আলু কিনতে এসেছি। এই উৎসবে নতুন ধানের চাল, নতুন আলুসহ নতুন নতুন শাকসবজি, পিঠাপুলি আত্মীয়-স্বজনকে খাওয়ানো হয়। বাজারে আলুর দাম বেশি হলেও উৎসবের কারণে কিনতে হয়েছে। এ বিষয়ে বগুড়া রাজাবাজার ব্যাবসায়ী মালিক সমিতির নেতা পরিমল প্রসাদ রাজ জানান, নবান্য উপলক্ষে চাহিদা বেশী হওয়ায় দাম বেড়ে গেছে। তবে কোন সিন্ডিকেট দেখা যায়নি। ২-১ দিন পর দাম স্বাভাবিক হবে।