নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা গুচ্ছ পদ্ধতিতে নিতে তৈরী করা ওয়েবসাইটে লোগো নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। গুচ্ছের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো দৃশ্যমান হচ্ছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা নিলেও গুচ্ছের ওয়েবসাইটে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো কিভাবে এলো এটি নিয়ে তৈরী হয়েছে বিতর্ক।
অনুসন্ধানে জানা যায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও গুচ্ছের ওয়েবসাইটে একই গুগল ট্যাগ ম্যানেজার আইডি ব্যবহার করা হয়েছে যা GTM-5ZWPXPH যিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের শিক্ষক। এ থেকে ধারনা করা হচ্ছে যে, সাইট দুটির ডেভেলপার একই ব্যক্তি। এছাড়া সাইটের ইন্টারফেসেও যথেষ্ট মিল পাওয়া গেছে।
ল্যাব সফওয়ারের সাইদুর রহমান এবিষয়ে মন্তব্য করেন, যে ভুল চোখে পড়ছে, তাতে মনে হচ্ছে গুচ্ছের ওয়েবসাইটটি তৈরী করতে আসলে একই প্রতিষ্ঠান কিংবা রাবির ওয়েবসাইটকে কপি করা হয়েছে। যে কোম্পানি গুচ্ছের ওয়েবসাইটটি নির্মাণ করেছে ভুলটি তাদের থেকে হয়েছে। যেকারণে এসব বাগ দেখা যাচ্ছে। কপি করা হলেও এর ফ্রন্ট এন্ড বা দৃশ্যমান অংশের নতুন ডিজাইন দিয়ে রাবির ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত সফটওয়্যার চালিয়ে দেয়া হয়েছে।
এবিষয়ে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির আহবায়ক ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এমন তো হওয়ার কথা না। আমি বিষয়টি টেকনিক্যাল কমিটির সভাপতিকে জানিয়েছি। তিনি দেখবেন।
গুচ্ছভুক্ত ২২টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের টেকনিক্যাল কমিটির সভাপতি ও চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আখতারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে একাধিকবার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায় নি।
এদিকে মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সংবাদ প্রকাশের পর সংশোধন করে গুচ্ছের ওয়েবসাইট থেকে মুছে ফেলা হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো।
এদিকে সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু শনিবার (১৫ এপ্রিল) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. মাহমুদুল আলম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ইতোপূর্বে গুচ্ছভুক্ত সকল বিশ্ববিদ্যালয়কে গুচ্ছে থাকার আহ্বান জানানো হয়। ফলে রাষ্ট্রপতির আদেশের সম্মানার্থে সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে বিশ্ববিদ্যালয় দুটি।
বর্তমানে গুচ্ছ ভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় গুলো হলো- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়; ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়; খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়; কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়; জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়; বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর; বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়; রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়; শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়; শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।