খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে গতকাল শিক্ষকদের দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালিত হয়। সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেড প্রদান ও স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো বাস্তবায়নের দাবিতে উক্ত দুই ঘন্টার কর্মবিরতি পালন করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন ও বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির আহ্বানে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির আয়োজনে গতকাল সকাল ১০ থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টাব্যাপী কর্মবিরতি পালন করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। উক্ত দুই ঘন্টার কর্মবিরতির সময়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড.এস এম ফিরোজ বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিম বৈষম্যমূলক। পেনশন স্কিমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্ভুক্ত হলে শিক্ষকরা চরম বৈষম্যের শিকার হবেন। সে কারণে অনতিবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়কে এই বৈষম্যমূলক স্কিমের আওতামুক্ত রাখা অতীব জরুরী। সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন নীতি-নির্ধারকদের প্রতি আবেদন আমাদের দাবির প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হলে আগামী ৪ জুন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশব্যাপী সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন। প্রয়োজনে আরও কঠোর আন্দোলন করা হবে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রকিবুল হাসান সিদ্দিকী বলেন, সর্বজনীন পেনশন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি মহতী উদ্যোগ। যারা উক্ত পেনশনের আওতাভুক্ত নন তাদের এই সর্বজনীন পেনশনে অন্তর্ভুক্ত করাই ছিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা যেখানে একটি পেনশন স্কিমের মধ্যে রয়েছে সেখানে নতুন করে একটি পেনশন স্কিম চালু করা হল। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের পদক্ষেপকে বাধাগ্রস্ত করতে এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র হিসেবে এই প্রত্যয় স্কিম চালু করা হতে পারে বলে আমরা মনে করছি। তাই অবিলম্বে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্ভুক্ত না করার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনকাঠামো প্রণয়ন এবং সুপার গ্রেড প্রদানের জন্য আমরা আশু জোর দাবি জানাই।