রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নানা আয়োজনের মাধ্যমে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করা হয়েছে। রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে ওরিয়েন্টেশন ক্লাসের (পরিচিতি ক্লাস) মধ্য দিয়ে তাদের বরণ করে নেওয়া হয়। অনুভূতি জানাতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের হোসেন বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এ যেন এক আকাশ পরিমান আবেগের নাম। কিন্তু সেই কাঙ্ক্ষিত চূড়া ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে’র আঙিনায় ক’জনই বা পা রাখতে পারে।আলহামদুলিল্লাহ আমি পেরেছি তবে পাওয়ার পর থেকেই যেন ক্লাসে যাওয়ার আগ্রহ দ্বিগুণ হয়ে গেয়েছে। আজকে ক্লাস শুরু মাধ্যমে অসম্ভব ভালো ও আবেগঘন অনুভূতি নিয়ে পূর্ণতা পেল। সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মোছা. নুসরাত জাহান (নুরী) বলেন, আমার শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, যারা আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন এবং অনুপ্রেরণা দিয়েছিলেন। আমি আমার কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যবসায়ের কারণে আজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি বিদ্যাপীঠে পড়ার সুযোগ পেয়েছি। আজ আসলেই একজন রাবিয়ান হিসেবে পরিচয় দিতে ভালো লাগছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, প্রাচ্যের ক্যামব্রিজ খ্যাত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্থ পরিবেশ এবং শিক্ষাব্যবস্থা প্রথমত আমাকে একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে এবং আমার দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নগুলোকে পূরণ করতে সাহায্য করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগে সদ্য ভর্তি হওয়া রাফাসান আলম বলেন, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হওয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার আগ্ৰহ তৈরি হয় সেই ক্লাস সেভেনে থাকতে। এক যুগ আমরা পড়াশোনা করে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে অনেকটা যুদ্ধময় পথ পাড়ি দিয়ে আসতে হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। তাই আনন্দটাও ছিল অনেক বেশি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজের ক্যাম্পাস ভাবতে পারার অনুভূতিটা বলে বোঝাতে পারব না। বিশ্ববিদ্যালয় যে একটি পরিবার থেকে কম নয় বরং বেশি, সেটা বুঝতে পারি যখন বড় ভাইয়া আপুদের সাথে আলাপ হয়। তাদের থেকেই পথ-নির্দেশনা নিয়ে নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে চাই, শিখতে চাই কীভাবে নিজেকে ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করতে হয়।