রবিউল ইসলাম, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের পরিবারের মাঝে ঈদ আনন্দ ছড়িয়ে দিতে ১০ টাকায় ঈদ বাজার কর্মসূচির আয়োজন করেছে শিক্ষার্থী ও সমাজ উন্নয়ন ফাউন্ডেশন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) শাখা।
১৭ এপ্রিল ( সোমবার) বিকেল চারটায় লজিক একাডেমির চতুর্থ শাখায় বরিশাল নগরীর আমতলায় অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের ১৬টি পরিবারের মাঝে এই ঈদ বাজার বিতরণ করা হয়। লজিক একাডেমির শিক্ষার্থীদের বেতনের একটা অংশ, কয়েকজন উদ্যোক্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহোযোগিতায় এই ঈদ বাজার দেওয়া হয়েছে।
ঈদ আনন্দ ধনী গরীব সবার সমান। চড়া বাজারে অস্বচ্ছল পরিবারের কর্তার মুখে চিন্তার ছাপ ফুটে উঠে ঈদ বাজার নিয়ে। এই চিন্তায়ই ঈদ আনন্দ হয়ে যায় মাটি। তাই এই অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের পরিবারের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে শিক্ষার্থীদেরই জমানো ১০ টাকায় ঈদের বাজার কেনার সুযোগ করে দিয়েছে সংগঠনটি। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি গাজী হাদিউজ্জামান, সহ-সভাপতি আব্দুল জলিল, সাধারণ সম্পাদক কামরুন নাহার মোহনা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হাফিজুল, সদস্য সুজনসহ অন্যআন্যরা
১০টাকার ঈদ বাজারে সামগ্রী হিসেবে ছিল এক লিটার সোয়াবিন তেল, এক কেজি মুরগী, এক প্যাকেট সেমাই, এক প্যাকেট গুড়া দুধ, এক কেজি চিনি, এক কেজি আলু ও এক কেজি কাটারিভোগ চাল।
সাধারণ সম্পাদক কামরুন নাহার মোহনা বলেন
“এটা একটা মহৎ উদ্যোগ। এভাবে চালিয়ে যেতে থাকলে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের অনেক বড় উপকার হবে।”
একজন শিক্ষার্থী তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, “জীবনের প্রথম ১০ টাকায় ঈদ বাজার করেছি তাও নিজের টাকায়। খুব ভালো লাগছে। এবারের ঈদটা পরিবারের আনন্দে কাটবে।”
শিক্ষার্থী ও সমাজ উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ববি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী গাজী হাদিউজ্জামান বলেন, “মানুষ দান নিতে গেলে নিজেকে কিছুটা ছোট মনে করে। এই জায়গা থেকে উঠে এসে নিজের টাকায় ঈদ বাজার করা এক অন্যরকম আত্মতৃপ্তি। যারা অস্বচ্ছল তারা অন্যের দানের আশায় না বসে কম টাকায় বাজার করবে। তবুও সন্তানকে বলতে হবে না বাবা এটা দানের জিনিস। বলতে পারবে এটা টাকা দিয়ে কেনা বাজার। এমনই ১৬ জন অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের মাঝে ১০ টাকায় পুরো ইদের বাজার দেওয়া হয়। তারা জীবনের প্রথমে এতো কমে টাকায় এতো বাজার পাওয়ায় তারা খুবই খুশী। আর এই খুশী টুকুই বড় পাওয়া শিক্ষার্থী ও সমাজ উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের।”