পিরোজপুরের স্বরূপকাঠির কালিবাড়ি খালে প্রতি বছরের ন্যায় এবারেও জমে উঠছে তরমুজের ভাসমান হাট। ক্রেতা-বিক্রেতায় এখন মুখরিত ভাসমান এ তরমুজের হাট। সপ্তাহে দুইদিনসোম ও বৃহস্পতিবার বসে তরমুজের এ ভাসমান হাট । দক্ষিনাঞ্চলের উপকুলীয় এলাকার স্বল্প সংখ্যক চাষী, এখানকার স্বরূপকাঠি উপজেলা, পার্শ্ববর্তী নাজিরপুর ও বানারীপাড়া উপজেলার অনেক ব্যবসায়ী এ মৌসুমে ওই সকল অঞ্চল থেকে ক্ষেতমুলে তরমুজ কিনে এনে এ ভাসমান হাটে বিক্রি করে। দক্ষিনাঞ্চলের কলাপাড়া, মহিপুর, মুন্সিরহাট, কুয়াকাটা, রাংগাবালি, গোলখালী, চেংরাতলা, তালতলী, গলাচিপা, গাজীপুর, সোনাখালী, ধানখালী,বাদুরা,কুকুয়া, বাংলাবাজার,নলুয়াবাগি,কালাইয়া, বিশ^াসের চর,চরফ্যাশনসহ উপকুলীয় অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় শত শত হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষাবাদ হয়। পটুয়াখালির গলাচিপার নলুয়াবাগির চাষী মো. মঞ্জুর হাসানেরসাথে মুঠোফোনে কথা হলে বলেন , গত বছরের তুলনায় এ বছর তরমুজের দাম কম ।ভোলার বোরহান উদ্দিন উপজেলার গঙ্গাপুর এলাকার চাষী মো. রেজাউল ইসলামজানান, এ বছর তরমুজের ফলন ও সাইজ ভাল হয়েছে। বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন এলাকায় বেশকিছু তরমুজ ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। এ ভাসমান হাটে ট্রলারে ট্রলারে বিভিন্ন জাতের ছোট বড় সাইজের তরমুজের পসরা বসে। এ মোকাম থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে তরমুজ চালান দেয়া হয়। মিয়ারহাট বন্দরের ব্যবসায়ী মো. আলী হোসেন জানান, এখান থেকে ট্রাক,লঞ্চ,ট্রলারযোগে রাজধানী ঢাকা, ফেনী ,লক্ষ্মীপুর ,নোয়াখালি, সিলেট সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তরমুজ চালান দেয়া হয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকেও পাইকাররা এ মোকাম থেকে তরমুজ ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিক্রি করেন। অপরদিকে এ মৌসুমে এখানকার এক শ্রেনির ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও এ ভাসমান হাট থেকে পাইকারি দরে তরমুজ কিনে ভ্যানে, নৌকায় করে বিভিন্ন হাট বাজারসহ গাঁও গ্রামে বিক্রি করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে। সরেজমিনে মিয়ারহাট বন্দর সংলগ্ন কালি বাড়ি খালে তরমুজের ভাসমান হাটে ব্যবসায়ী ও পাইকারদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, বড় সাইজের এক’শ তরমুজ ২০/২২ হাজার টাকা, মাঝারী সাইজের তরমুজ ১২/১৪ হাজার টাকা ,তার পরের সাইজের তরমুজ ৬/৭ হাজার টাকা এবং ছোট সাইজের তরমুজ ৩/৪ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তরমুজের ভাসমান হাটে আসা দুরাগত ব্যবসায়ী মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার চরবাউশিয়া গ্রামের মো. সাদেকুর রহমান এবং পাশর্^বর্তি ঝালকাঠি শহরের বড় বাজারের ফল ব্যবসায়ী প্রমানন্দ হালদার জানান এ ভাসমান হাট থেকে তরমুজ ক্রয় করে তারা নিজ নিজ এলাকায় নিয়ে বিক্রি করেন।ব্যবসায়ী সুত্র জানায়, বর্তমানে সপ্তাহে প্রতিহাটে প্রায় ৭৫/৮০ লক্ষ টাকার তরমুজ পাইকারি ভাবে বিক্রি হয় ।