মধ্যরাতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শেরে বাংলা হলের তিন শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। রোববার রাত ২ টা থেকে ৩ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন মার্কেটিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র রাজু মোল্লা, একই বিভাগের হাবিবুল্লাহ মিলন এবং উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. সিফাত হাসান । আহতরা শেরে বাংলা হলের ২০০৭ ও ২০০৯ নং রুমের আবাসিক শিক্ষার্থী। এছাড়া তারা তিনজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, রাত ২ টায় হলের ২০০৬ নং কক্ষে ও পরে টিভি রুমে মারধরের ঘটনা ঘটে। রাত পনে তিনটার দিকে কতিপয় শিক্ষার্থীরা ঐ তিন শিক্ষার্থীকে মাঠে নিয়ে তর্কাতর্কিও ও মারধর করে ৷ একপর্যায়ে তিনটার দিকে শেরে বাংলা হলের প্রোভোষ্ট আবু জাফর মিয়া আহত অবস্থায় রাজু মোল্লা, মিলন ও সিফাতকে উদ্বার করে হল প্রভোস্টের রুমের সামনে নিয়ে আসেন।
পরবর্তীতে ভোররাতে শেরেবাংলা হলের প্রভোস্ট আবু জাফর মিয়া আহতদের এম্বুলেন্সে করে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, আহত এক শিক্ষার্থীর (রাজু মোল্লার) মাথা ফেটে গেছে। বাকি দুজনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে আহত রাজু মোল্লা বলেন, আমি ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমার বিরোধী পক্ষ মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাতের অনুসারী তাহমিদ জামান নাভিদ, শরীফুল ইসলাম সহ পাঁচ থেকে সাতজন বিনা কারণে আমার ওপর হামলা করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রলীগ কর্মী এই প্রতিবেদক কে বলেন, রাজু মোল্লা আলীম সালেহীর অনুসারী। গত কয়েকদিন আগে সে আমাদের (ছাত্রলীগের) কিছু তথ্য স্কিনশট বিরোধীপক্ষের কাছে পাচার করেছে। যা গতকাল জানাজানি হয়। এরই প্রেক্ষিতে আজকে এ মারামারির ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে তাহমিদ জামান নাভিদ এই বলেন, হলে মারামারি হয়েছে এমন তথ্য আমার জানা নেই । এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারবো না।
এ ব্যাপারে শেরে বাংলা হলের প্রভোস্ট আবু জাফর মিয়া জানান, রাতে হলের দুই-তিন জন শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনা ঘটার পরপরই হলে এসে ওদের উদ্ধার করি৷ শুনেছি স্কিনশট সংক্রান্ত কি ঝামেলা হয়েছে সেটা নিয়ে মারামারি৷ তবে ক্যাম্পাসের বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক।