বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে(ববি) শেরে বাংলা হলে অতিরিক্ত হল ফি ধার্য করায় অসন্তোষ দেখা দিয়েছে শিক্ষার্থীদের মাঝে। হলে প্রথমে আবাসিক হওয়ার জন্য একজন শিক্ষার্থীকে গুনতে হবে ৬০৯৬টাকা। অতিরিক্ত হলফি এখন শিক্ষার্থীদের গলার কাটা। একবারে এতবেশি টাকা পরিশোধ করা সাধ্যের বাইরে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
গত ১৯ মার্চ (রবিবার) নতুন আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়। এক নোটিশে বরাদ্দকৃত শিক্ষার্থীদের আগামী ২০ মার্চ থেকে ২৮মার্চের মধ্য হলফি পরিশোধের জন্য বলা হয়েছে।
হল সিট ভাড়া দ্বৈতবাসিক ১৫মাসের ২২৫০টাকা, হল সংস্থাপন ফি ১০০০টাকা, হল জামানত ফি ফেরতযোগ্য এককালীন ১০০০টাকাসহ অন্যআন্য ফি বাবদ মোট ৬০৯৬ টাকা।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারীর ১৫ তারিখে নতুন আসনে বরাদ্দকৃত শিক্ষার্থীদের জন্য ১ বছরের হলফি ধার্য করা হয় ৪৯৩০টাকা।পাশাপাশি অবস্থিত বঙ্গবন্ধু হলে প্রথমে একজন শিক্ষার্থীকে আবাসিক হওয়ার জন্য ছয় মাসে পরিশোধ করতে হয় ৩৪৯০টাকা৷ কিন্তু এবার একসাথে ১৫মাসের ফি একসাথে ধার্য করায় ক্ষুদ্ধ আসন পাওয়া শিক্ষার্থীরা৷
রসায়ন বিভাগের দশম আবর্তনের শিক্ষার্থী আব্দুল মোমিনের সাথে কথা হলে জানান, হলে সিট দেওয়া হয় আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের। একজন অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীর পক্ষে কীভাবে এতটাকা দেওয়া সম্ভব? হলের আবেদনপত্র দেওয়ার সময় ঘোষনা দিতে পারত যারা ৬ হাজার টাকা দিতে পারবে তারা আবেদন করবে বাকিদের আবেদন করার প্রয়োজন নেই। এক সপ্তাহ আগে ফর্মফিলাপ করেছি ২০০০টাকায় এখন ২৮তারিখের মাঝে কীভাবে এতটাকা দিব?
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নতুন সিট পাওয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, শেরেবাংলা হলে উঠতে ৬০৯৬টাকা দেওয়া লাগছে৷ যা রীতিমতো একজন ছাত্রের কাছে বোঝাস্বরূপ। বর্তমানে প্রত্যেক ছাত্রদের জন্য এতটাকা জমা দেওয়া খুবই কঠিন হয়ে উঠেছে। কারণ বাইরে থাকতে গেলেও একসাথে এত টাকা দেওয়া লাগতো না। এই দিকগুলো বিবেচনা করে হল কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দরকার বলে আমি মনে করি।
অতিরিক্ত হলফিস সম্পর্কে জানতে চাইলে শেরে বাংলা হলের প্রভোস্ট আবু জাফর মিয়া বলেন, সাধারণত আমরা এক বছরের টাকা নেয় কিন্তু এখন যেহেতু মার্চ মাস, আর আমরা হিসাব করি জুন মাস থেকে, তাই আগামী জুন (১৫) মাস পর্যন্ত সমতা বজায় রাখার জন্য ও হিসাব রাখার সুবিধার্থে এই ৩মাসের টাকা একসাথে নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, কোনো শিক্ষার্থীর একসাথে হলফি দিতে সমস্যা হলে শেরে বাংলা হলের প্রভোস্ট অফিসে যোগাযোগ করার জন্য বলা হলো ৷