জবি প্রতিনিধি:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সমন্বিত গুচ্ছ পরীক্ষায় থাকা না থাকা নিয়ে ৬৫তম বিশেষ একাডেমিক কাউন্সিলে এক শিক্ষককে ‘হেনস্তা‘র অভিযোগ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এরই মধ্যে এই সম্পর্কিত কথপোকথনসহ তিনটি অডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়েছে।
ফাঁস হওয়া অডিও ক্লিপে শোনা যায়, ভুক্তোভোগী ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগে চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল কাদেরের সঙ্গে মুঠোফোনের অপরপ্রান্তে কথা বলছেন অ্যাকাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম। ২ মিনিট ২৯ সেকেন্ডের অডিও ক্লিপটিতে বিষয়টি আর ‘না বাড়ানোর’ অনুরোধ করতেও শোনা যায় তাকে।
অডিও ক্লিপগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল কাদের বলেন, ‘আমি তো কোনও অডিও ক্লিপ কাউকে দেইনি, জানিও না। আর আমার আইফোনে কল রেকর্ডও হয় না। আমি এই বিষয়ে কিছুই জানি না।
এদিকে কল রেকর্ড নিয়ে প্রকাশিত সংবাদ বিষয়ে বিবৃতি দেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল কাদের। সোমবার (১০ এপ্রিল) এই বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত ৬ এপ্রিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে আমার উপর সংঘটিত অনাকাঙ্ক্ষিত হামলার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি অডিওভিত্তিক সংবাদ আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমি ব্যক্তিগত পর্যায়ে হওয়া ওই ফোনালাপ পত্রিকায় প্রকাশের ঘটনায় বিস্মিত। সম্মানীত একজন সহকর্মীর সঙ্গে আমার ওই কথোপকথনটি কিভাবে রেকর্ড হল তা আমার বোধগম্য নয়। ওইদিনের দুঃখজনক ঘটনার পর থেকেই আমি এবং আমার পরিবার অত্যন্ত মর্মাহত, আতঙ্কিত ও অসহায় বোধ করছি।
তিনি আরো বলেন, ব্যক্তিগত পর্যায়ের এসব আলাপ আলোচনা গণমাধ্যমে প্রকাশকে আমি সাংবাদিকতার প্রতিষ্ঠিত নীতি-নৈতিকতা বিরোধী বলে মনে করি। এতে করে অন্যান্য সহকর্মীর সঙ্গে আমার আস্থার সম্পর্কে প্রভাব পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছি। গুচ্ছ ভর্তি-পরীক্ষা বিষয়ে আমার নিজস্ব অভিমত থাকলেও আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার যেকোন ধরনের অপতৎপরতা রোধে সহকর্মীদের সঙ্গে একত্রে কাজ করতে সবসময়ের মতোই নিষ্ঠাবান।
সাংবাদিকদের প্রতি তিনি ব্যক্তিগত গোপনীয়তার নীতি মেনে চলার আহ্বান জানান। আশা করেন নিয়ম-নীতি মেনে সঠিক সংবাদ প্রকাশ করে সাংবাদিকরা বিশ্ববিদ্যালয় তথা দেশের স্বার্থে কাজ করবে।
উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও গুচ্ছ নিয়ে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল সভায় সকল ডিন, চেয়ারম্যান ও অতিথিদের সামনে গুচ্ছের পক্ষে মতামত দেওয়ায় মারধরের শিকার হন বলে উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগও দেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল কাদের। তবে মারধরের বিষয়টি অসত্য দাবি করে শুক্রবার (৭ এপ্রিল) গণমাধ্যমে প্রতিবাদ লিপি দেয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।