হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত ‘হাবিপ্রবি মজার ইস্কুল’ এর ২০২৩-২০২৪ সেশনের জন্য নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন কমিটির সভাপতি হিসেবে মনোনীত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ তম ব্যাচের যন্ত্ৰপ্ৰকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ রুহুল আমিন।
শনিবার (১ এপ্ৰিল) ‘হাবিপ্রবি মজার ইস্কুল’ এর সদ্য সাবেক সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মৃন্ময় কুন্ড ও সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকিবা সুলতানা রিমু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে হাবিপ্রবির উদ্যানতত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদারকে প্রধান উপদেষ্টা করে ‘হাবিপ্রবি মজার ইস্কুল’ এর ৪৬ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটিকে আগামী ১ বছরের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়।
৪৬ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি মেহেদী হাসান, সহ-সভাপতি যারীন শাইমা শ্যামা, সাধারণ সম্পাদক মোঃ রুহুল আমিন, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক নাজমিন আক্তার লিজা, কোষাধক্ষ্য কান্তা ইসলাম, সহ-কোষাধক্ষ্য আজমাতুজ জাহান জান্নাতি , সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান শাকিল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, তুষার চন্দ্ৰ রায়, তানভীর আহমেদ, বাসমা জাহান মুমু ,সুমাইয়া সিদ্দিকা নোভা,রেজোয়ানা আরেফিন রিশতা,শাহজাহান কবির, প্রচার ও প্রচারণা সম্পাদক আতিকুজ্জামান; সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শুভ কুমার ঘোষ, অলংকার গুপ্তা, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক কামনা রায়, মোঃ আবু তালেব এবং তথ্য ও প্ৰযুক্তি সম্পাদক রাকিবুল হাসান নিৰ্বাচিত হয়েছে। বাকিরা সহ বিভিন্ন সহ সম্পাদক ও সদস্য পদে নিৰ্বাচিত হয়েছে।
নতুন দায়িত্ব গ্ৰহণের পর হাবিপ্রবি মজার ইস্কুলের সভাপতি বলেন,” বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাৰ্বিক সহযোগিতায় হাবিপ্রবি মজার ইস্কুল এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী একবছর কাৰ্যদিবসে সকল প্রকার কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখবো”
নতুন কমিটির সভাপতি মেহেদী হাসান বলেন,” আমার লক্ষ্য ক্যাম্পাসের আশেপাশের গ্রাম- মহল্লার সুবিধাবন্চিত ছেলেমেয়েদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়া, তাঁদের শিক্ষা উপকরণ কিনে সাহায্য করা। তাছাড়াও ঈদের পরে পল্লীবিদ্যুতের পাশের গ্রামে থাকা আদিবাসীদের মাঝে শিক্ষা গুরুত্ব ও প্রয়োজনীতা বুঝিয়ে শিশুদের হাবিপ্রবি মজার ইস্কুলের মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান করে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার কাজ করে যাবো। ”
নবগঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রুহুল আমিন বলেন,” আমরা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছি,এজন্য সরকার আমাদের পিছনে যে পরিমান খরচ করে তার মধ্যে গরীব মধ্যবিত্ত, অসহায় মানুষের অবদান রয়েছে, অথচ প্রত্যন্ত অঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষের ছেলেমেয়েগুলো তাদের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত, এজন্য আমাদের এইচএসটিইউ
মজার ইস্কুল ওই সকল সুবিধাবঞ্চিতদের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে।আমরা যারা ইস্কুলের সাথে সম্পৃক্ত সকলেই ছাত্র,আমাদের যেটুকু সামর্থ্য, যেমন মেধা আর শ্রম দিয়ে সাহায্যে করে যাচ্ছি যাতে করে ভবিষ্যৎ এ তারা দেশের দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত হতে পারে।একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে যে যার জায়গা থেকে কাজ করা উচিৎ, আর আমরা আমাদের জায়গা থেকে সর্বোচ্চটা দেওয়া চেষ্টা করে যাচ্ছি, সকলের সহযোগীতা পেলে ইনশাআল্লাহ আগামীতে আমাদের হাবিপ্রবি মজার ইস্কুলকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব ইনশাআল্লাহ।”
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ‘নিরক্ষরমুক্ত দেশ গড়া, মজার ছলে শেখাবো মোরা’ এই প্রত্যয়কে সামনে রেখে হাবিপ্রবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে হাবিপ্রবি মজার ইস্কুল। প্রথম শ্রেণি থেকে শুরু করে নবম শ্রেণি পর্যন্ত নিয়মিত ১২০ জনেরও উপরে ছেলেমেয়ে বিনা পয়সায় পড়াশোনা করতে পারে এই মজার স্কুলে।