ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করা এবং ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন না করায় সোমবার (৩ এপ্রিল) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সদস্যরা বুকে কালাে ব্যাচ ধারণ করে শহীদ মিনারে মানববন্ধন করে। এতে প্রায় চারশ শিক্ষক অংশগ্রহণ করে। মানববন্ধনে শিক্ষক সমিতি ও নীল দলের নেতৃবৃন্দ তাদের দাবির পক্ষে বক্তব্য দেন। মানববন্ধন শেষে তারা উপাচার্যের কক্ষে অবস্থান করেন। সে সময় নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি নেওয়ার জন্য একটি কমিটি গঠন ও সিন্ডিকেটের আহ্বান জানান শিক্ষকরা।
শিক্ষকদের দাবির মুখে প্রায় দেড় ঘন্টা অবরুদ্ধ হয়ে থাকার পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ ইমদাদুল হক দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। উপাচার্য আগামী ৫/৬ তারিখ বিশেষ একাডেমিক কাউন্সিলের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ও ইউনিট ভিত্তিক ভর্তি কমিটি গঠন, ৮ তারিখ সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে তা পাশ করে পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি দিতে শিক্ষকদের আশ্বস্ত করেছেন।
মানববন্ধনে শিক্ষক নেতারা বলেন, গুচ্ছ এমন একটি প্রক্রিয়া যা কোনো গবেষণা ছাড়াই আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ চাপিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা কারো নেই। আর সবচেয়ে লজ্জার বিষয় হলো গত ১৫ মার্চ একাডেমিক কাউন্সিলে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত হয় সে সিদ্ধান্তগুলো কার্য বিবরণীতে বিকৃতভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রম এককভাবে নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করছি। দাবি না মানা হলে আরো কঠোর আন্দোলন হবে বলে জানান তারা।
জবি শিক্ষক সমিতির পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. একেএম লুৎফর রহমান বলেন, উপাচার্য নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার যাবতীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেওয়ায় আমরা ৫ তারিখের কর্মসূচি বন্ধ রেখেছি। একাডেমিক কাউন্সিলের অবস্থা বুঝে ৬ তারিখের কর্মসূচি জানিয়ে দিব।
জবি ও গুচ্ছ নিয়ে সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ৮ এপ্রিল সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করা হয়েছে,সিন্ডিকেট সভায় সব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সর্বশেষ ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা নিয়েছিল। এরপর বিগত দুই বছর ধরে গুচ্ছ ভর্তি পক্রিয়ায় ভর্তি কার্যক্রম নিচ্ছে।