প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসের নিঃশর্ত মুক্তিসহ ৩ দফা দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (৩১ মার্চ) বেলা তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে (ডেইরি গেইট) অবস্থান নিয়ে অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। তাদের অন্য দাবিগুলো হলো-প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামস ও সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হওয়া মামলা প্রত্যাহার এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা। আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্র ইউনিয়নের বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আলিফ মাহমুদ বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানে কীভাবে শামস ভাইকে মুক্ত করতে হবে। আমরা তার নিঃশর্ত মুক্তির আগ পর্যন্ত আন্দোলন জারি রাখবো। শামস ভাই দিনমজুরের বরাতে যে কথা লিখেছেন, তা এদেশের কোটি কোটি মানুষের মনের কথা।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশে সত্য বললে তার গলা টিপে ধরার রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মাধ্যমে মুখ চেপে ধরার সাহস করলে আবার একটি গণঅভ্যুত্থান দেখবে এই দেশ। অনতিবিলম্বে শামস ভাই এর নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে তাকে তার মায়ের নিকট ফিরিয়ে দিতে হবে, তা না হলে জাহাঙ্গীরনগরের এই আন্দোলনের স্ফুলিঙ্গ সারা দেশে ছড়িয়ে যাবে।’ ছাত্র অধিকার পরিষদ জাবি শাখার সভাপতি জহির ফয়সাল বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবসে একটি রিপোর্ট করার অপরাধে শামসুজ্জামানকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অনতিবিলম্বে শামসুজ্জামানের মুক্তি চাই।’ এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করেছিলো। আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম, যাতে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়। শিক্ষার্থীদের বুঝিয়েছি যে, শামসুজ্জামান শামসের ঘটনা একটি রাষ্ট্রীয় ইস্যু। রাষ্ট্র নিজস্ব আইনের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করবে। পরে আমাদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিয়েছে।’ এদিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উভয় পাশ বন্ধ করে দেয় শিক্ষার্থীরা। ফলে মহাসড়কের উভয় পাশে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। প্রায় আধা ঘণ্টা পর যাত্রীদের দুর্যোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে অবরোধ কর্মসূচি তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।