বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উদযাপিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৩। দিবসটি উপলক্ষে রবিবার (২৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, শিক্ষক সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, বিভাগীয় প্রধান, লাইব্রেরিয়ান, প্রাধ্যক্ষবৃন্দ, প্রক্টর, শিক্ষকমন্ডলী, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
এরপর পুষ্পস্তবক অর্পণে অংশ নেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স এসোসিয়েশন, বিভিন্ন বিভাগ, বঙ্গবন্ধু হল, শেরে বাংলা হল, শেখ হাসিনা হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল, গ্রেড ১১-১৬ ও গ্রেড ১৭-২০ কল্যান পরিষদ, ববিতে কর্মরত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের সংগঠন উত্তরাধিকারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
এর আগে সকাল ১০টায় জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনসহ বিএনসিসি সদস্যদের গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন উপাচার্য।
দিবসটি উপলক্ষে সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কীর্তনখোলা অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। এসময় উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা একইসূত্রে গাঁথা। কারন বঙ্গবন্ধু বাঙালীর স্বাধীকার আন্দোলনকে স্বাধীনতা আন্দোলনে পরিণত করেছিলেন এবং আমাদেরকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র উপহার দিয়েছিলেন। আমরা যদি আমাদের মন ও মননে এবিষয়গুলোকে উপলব্ধি করে সে আলোকে জীবনকে পরিচালিত করতে পারি তাহলেই এ দেশটি ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ তথা সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার বাহাউদ্দিন গোলাপের সঞ্চালনায় সভায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) আয়োজিত স্বাধীনতা দিবস সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে সকল মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের স্মরণে দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া-মোনাজাত এবং মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।