স্বাধীনতা বাঙালির অহংকার। যার চেতনা আমরা হৃদয়ে ধারণ করেছি। স্বাধীনতার এই চেতনাকে ধারণ করে পোশাকের নকশা করল ঢাকার সাভারে অবস্থিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চে (নিটার) ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড অ্যাপেরাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ যেন পোশাকের ভাবধারায় স্বাধীনতার প্রতি গভীর মমত্ব ফুটিয়ে তোলা।
শিক্ষার্থীরা তাদের নিজেদের করা নকশায় মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তৈরি করেছেন শাড়ি,পাঞ্জাবি, লং কামিজ ও থামি। প্রতিটি পোশাকই ফুটে উঠছে শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতা দিবসে শ্রদ্ধা ও দেশমাতৃকার প্রতি ভালবাসা।
শাড়ি-পাঞ্জাবির উপর যেমন হ্যান্ড পেইন্ট করে বাংলাদেশের মানচিত্র, পতাকা, স্বাধীনতার সংগ্রাম ফুটিয়ে তুলেছে শিক্ষার্থীরা। তেমনি আবার নকশাতে ফিউশন ঘটিয়ে তৈরি করেছে পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ি নারীদের পোশাক থামি। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা প্রকাশ করছে এই স্বাধীনতা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী থেকে শুরু করে বাংলাদেশের সবার।
নিটারের ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা নিজেরাই পোশাকগুলোর নকশা করে তৈরি করেছে, আবার পোশাকের মডেলও হয়েছে নিজেরাই।
৫৩তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসকে উৎসর্গ করে শিক্ষার্থীরা এই প্রকল্পের নাম দিয়েছে “স্বাধীনতার ৫৩”। শিক্ষার্থীদের সুপারভাইজ করেছেন ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক ইয়াসমিন আক্তার তুলি।
প্রভাষক ইয়াসমিন আক্তার তুলি জানান, “পোশাকে স্বাধীনতার ৫৩ থিমকে সামনে রেখে শিক্ষার্থীরা পোশাকের নকশা তৈরি করছে। পূর্বেও আমাদের শিক্ষার্থীরা ২১শে ফেব্রুয়ারি থিমে পোশাকের নকশা করেছিল, যা অনেক প্রশংসা কুড়িয়ে ছিল। আশা করি শিক্ষার্থীরা এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখবে এবং বাংলাদেশী পোশাক খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের পাশাপাশি তারা আন্তর্জাতিকভাবেও বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করবে।”
পোশাকের নকশা কিভাবে তৈরি করেন এ বিষয়ে বলতে ফ্যাশন ডিজাইন এন্ড অ্যাপেরাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ফারিয়া ইসলাম মেভিন বলেন, “আমরা বিভিন্ন থিম থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে পোশাকে ডিজাইন তৈরি করে থাকি। অনুপ্রাণিত থিম থেকে পোশাকের ক্যাটাগরি, রং, প্যাটার্নসহ বিভিন্ন জিনিস আমরা আমাদের পোশাকের ডিজাইনে ফুটিয়ে তুলি।
পোশাক ডিজাইন করা ও তৈরির পাশাপাশি আমরা পোশাকের ফটো স্যুট, ভিডিও ও পোস্টার তৈরি করি। যার মাধ্যমে আমরা একটি পোশাকের ডিজাইন থেকে শুরু করে প্রোডাক্টের মার্কেটিং পর্যন্ত সব কিছু সম্পর্কে ধারণা পাই।”
আপাতত এই পোশাকগুলো ইনস্টিটিউটেই সংরক্ষণ করা হবে। অনুপ্রেরণা দেবে এই বিভাগের অনুজদের।