গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মাটি ব্যবসার দ্বন্দ্বে পরিকল্পিত ভাবে বাড়ি থেকে ফোনে ডেকে নিয়ে এক মাটি ব্যবসায়ীকে হাত-পা বেঁধে কুপিয়ে টাকা লুট করেছে প্রতিপক্ষ। পরে মৃত ভেবে তার পাশে রামদা ও খেলনা পিস্তল ফেলে রেখে গণপিটুনি বলে চালানো চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনার প্রায় ৯ঘন্টার পর শুক্রবার গভীর রাঁতে ওই ব্যবসায়ীর মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের মাতম বিরাজ করে। তবে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবী পরিবারসহ স্থানীয়দের। নিহত হলেন- কালিয়াকৈর উপজেলার টেকীবাড়ি চানপুর এলাকার ওয়াজ উদ্দিনের বড় ছেলে মিজানুর রহমান (৩০)। এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মিজানুর এক দেড় বছর ধরে স্থানীয় বিভিন্ন এলাকায় মাটি ব্যবসা করে আসছিলেন। কিন্তু মাটি ব্যবসা নিয়ে ঢালজোড়া এলাকার আনোয়ার হোসেন, আব্দুল লতিফ, আলিম মিয়া, মোহাম্মদ আলীসহ কয়েকজনের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে মিজান। তার জের ধরে গতকাল শুক্রবার বিকেলে মিজানের পার্টনার নূর ইসলাম মাটি ক্রয়ের কথা বলে ফোন করে ডেকে নিয়ে উপজেলার আড়াইগঞ্জ বাজারে নিয়ে যায়। পরে প্রতিপক্ষ আনোয়ার গ্রুপ রামদা, চাকু, রড ও লাঠিসোঠা দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মিজানকে কুপিয়ে ও মারপিট করে রাস্তায় ফেলে রাখে। এসময় মিজানের মৃত্যু নিরচিত ভেবে মিজানের দেহের পাশে খেলনা পিস্তল ও রামদা রেখে গণপিটুনি বলে চালানো চেষ্টা করে প্রতিপক্ষারা। পরে এলাকাবাসী স্থানীয়রা পরিবারকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। পরে তার অবস্থা অবনতি হলে পরিবারের লোকজন কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখান থেকে তাকে ফেরত দিলে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে শুক্রবার গভীর রাতে তার মৃত্যু হয়। কালিয়াকৈর থানার পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) ফেন্সি বিশ্বাস জুয়েল জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে থেকে একটি রামদা, রড ও একটি খেলনা পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে মাটি ব্যবসাকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকান্ডটি ঘটেছে।