হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিল এই উপমহাদেশের একজন প্রভাবশালী নেতা। যিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক গুরু। যাকে ইংরেজ শাসক কিংবা পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠীর কেউ পারেননি দমিয়ে রাখতে। এবার কিনা সেই গণতন্ত্রের মানসপুত্রই চাপা পড়লেন ব্যানারের নিচে।
ঘটনাটি রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের। সূত্রাপুর থানায় অবস্থিত এ কলেজটির মেইল রাস্তা সংলগ্ন মূল ফটকে ঝুলতে দেখা যায় একটি ব্যানার। যার কারণে নাম ফলকের অর্ধেকটা ঢেকে গেছে। দূর থেকে দেখা যায় না মূল ফটক সেখানে চাপা পড়ে আছে সোহরাওয়ার্দী কলেজের নাম।
সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, ১৭ই মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও শিশু দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখার পক্ষ এ ব্যানার টানানো হয়। শিক্ষার্থীদের একাংশের মনে হয়েছিল হয়তো বিশেষ দিবস উপলক্ষে ক্যাম্পাসের অঙ্গসংগঠন হিসেব মূল ফটকের নাম ফলকের উপর টানানো হয়েছিল এ ব্যানার। কিন্তু বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে উপস্থিত হলেও মূল ফটকে দেখা মিলেছে সে ব্যানারের। অর্থাৎ স্থায়ীভাবেই মূল ফটকে রয়ে গেছে সে ব্যানার।
যার কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, ক্যাম্পাসের মূল ফটকের নিচে এ ধরনের ব্যানার স্থায়ীভাবে থাকার বিষয়টি শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক। দূর থেকে মনে হয় সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের মুখে কেউ মুখোবন্ধনী লাগিয়ে দিয়েছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষার্থী জানান, এ ধরনের কর্মকাণ্ড শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক। এ কারণ জানতে চাইলে তিনি ক্যাম্পাসের দায়িত্বশীলদের উদাসীনতাকে দায়ী করেন।
এ নিয়ে সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ মোহসিন কবীরের নিকট ব্যানারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কিছু কিছু অনুষ্ঠানের ব্যানারগুলো একটু বেশি বড় হয়ে যায়, যার কারণে সে ব্যানারগুলো মূল ফটকে টানিয়ে দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে সাংবাদিকে পাল্টা প্রশ্ন করে জানতে চান যে মূল ফটকে যে ব্যানার টানানো হয়েছে সেটি কাদের ব্যানার? সাংবাদিক ছাত্রলীগের ব্যানার এ বিষয়টি অধ্যক্ষকে জানালে তিনি কথা ঘুরিয়ে বলেন, ব্যানার সরানোর ব্যাপারে একাধিকবার কলেজ শাখা ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্টকে বলা হয়েছে কিন্তু তিনি এ ব্যানার সরিয়ে নেন নি।
শেষে তিনি আরও বলেন, এবার আমি কঠোরভাবে ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্টকে এ ব্যানার সরানোর ব্যাপারে বলবো।
সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার হলেও নেই আধুনিক সমৃদ্ধশীল মূল ফটক। যাও একটি রয়েছে সেখানে দেখা যায় একাধিক ব্যানারের অবতারণা। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি, একটি আধুনিক উন্নতমানের মূল ফটক নির্মাণ।