১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে গণহত্যার শিকার শহীদদের স্মরণ এবং গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্যে সেমিনার আয়োজন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ২০২৩। সেখানে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের বিচারপতি এম্ এনায়েতুর রহিম বলেন,” মুক্তিযুদ্ধের সরকার গঠনে দেশের স্বাধীনতার ৫০ বর্ষ অতিক্রম করা, দেশের এগিয়ে চলার স্বপ্ন সত্যি হচ্ছে। যদি মুক্তিযুদ্ধের সরকার গঠিত না হতো তবে এখন দেশের অনেক মানুষ একটা রাজাকার এর সার্টিফিকেট জোগাড় করার জন্য ছুটতেন। দেশের মানুষের উপর যে নির্যাতন করা হয়েছে, যে বর্বর হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে বাঙালি তার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া একান্ত কাম্য। বাঙালি সংস্কৃতিকে কোনোভাবেই হেয় করা যাবে না, ধর্মীয় বাঁধা দিয়ে অপশক্তিকে স্থান দেওয়া যাবে না কখনোই।”
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ ২০২৩) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়াম এ উক্ত সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদ।
প্রবন্ধ উপস্থাপক হিসেবে ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো: আবুল হোসেন। আলোচক হিসেবে যৌথভাবে ছিলেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এস. এম. মাসুল বিল্লাহ ও লাইফ এন্ড আর্থ সায়েন্স এর প্রাক্তন ডিন অধ্যাপক ড. মো: জাকারিয়া মিয়া।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: আইনুল ইসলামের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো: লুৎফর রহমান ও অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নাফিস আহমদ।
উপাচার্য অধ্যাপক ড ইমদাদুল হক বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিতে এখন অনেক বিভক্তি। বরং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তিকে এখন চালনা করছে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে থাকা শক্তি।”
এছাড়াও তিনি ‘৭১ এর সময়ে অবলোকন করা নানা বর্বর ঘটনার কথা উল্লেখ করেন।