সাপ্তাহিক ছুটি সহ সরকারী ৩ দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে কুয়াকাটায় ভীড় জমিয়েছে হাজারো পর্যটকের। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকেই সৈকতে এসকল পর্যটকের আগমন ঘটে। আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়ীতে আনন্দ উন্মাদনায় মেতেছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে উপভোগ করছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। অনেকে আবার ঘুরে দেখছেন তিন নদীর মোহনা, লেম্বুরবন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দির, ফাতরারবন ও গঙ্গামতি সহ পর্যটন স্পটগুলো। আগতদের এমন ভীড়ে বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার অধিকাংশ হোটেল মোটেল। বিক্রি বেড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিষ্ট পুলিশ। ঝিনুক বয়বসায়ী আ. রহিম জানান, আজকে অনেক পর্যটক বেড়েছে, এভাবে সবসময় পর্যটক থাকেলে আমরা ব্যবসায়ীরা করোনার লচ কেটে উঠতে পারব। সিলেট থেকে আসা পর্যটক মো. মিজানুর রহমান বাবলু বলেন, কুয়াকাটায় এসে সবই ভাল লেগেছে, তবে বাসষ্টান না থাকায় সড়কে চলাফেরায় চরম ভোগান্তি, পর্যটন ষ্পটগুলোর সড়ক যোগাযোগও তেমন ভালোনা। হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মিলন ভূঁইয়া জানান, শীত কম থাকায় প্রায় হোটেলের রুম বুকিং রয়েছে। আমরা সবসময় পর্যটকদের সেবায় নিয়োজিত আছি। বাসষ্ট্যান্ডটি এখন জরুরী হয়ে পড়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের ওসি হাসনাইন পারভেজ বলেন, শীত কম থাকায় গত সপ্তাহের চেয়ে আজকে পর্যটক বেশি, পর্যটকদের নিরাপত্তা জোরদার করেছি, তাদের সেবায় আমরা সার্বক্ষণিক নিয়োজিত। কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, বাসষ্টানের কাজ জরুরী গতিতে চলছে, পৌরসভার বাহিরের সড়কগুলো তেমন ভালোনা, আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবী জানাই পর্যটন কেন্দ্র থেকে পর্যটন স্পটগুলোর যত সড়ক আছে সেগুলো জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার করার।