পার্বত্য চট্টগ্রামে নির্বিচারে গুম,খুন, অপহরণ ও চাঁদাবাজি বন্ধ করে পার্বত্যবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সকল সম্প্রদায়ের মাঝে শিক্ষা, স্বাস্থ্য,ভূমির সম-অধিকার ও মানবাধিকার নিশ্চিত করার দাবিতে
মানববন্ধন করেছে পার্বত্য চট্রগ্রাম নাগরিক পরিষদ (পিসিএনপি), বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড.কামাল উদ্দিন আহমেদ ও কমিশনের অন্যান্য সদস্যবৃন্দের বান্দরবানে আগমন উপলক্ষে মঙ্গলবার(১৭ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় বান্দরবান বাজার বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চ প্রাঙ্গনে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসিবে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মোঃ মজিবর রহমান।
মানববন্ধন শেষে বান্দরবান সার্কিট হাউজে পিসিএনপি নেতারা ৯ দফা দাবীতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর নিকট একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।স্মারকলিপিতে উল্লেখিত দাবি সমূহ:
১। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির অসাংবিধানিক ও বৈষম্য মূলক ধারা সমূহ বাতিল, সংশোধন ও পরিবর্তন করা।
২। পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি ১৯০০ সালের আইন বাতিল ও ৬১ জেলার ন্যায় দেশের প্রচলিত আইন চালু করা।
৩। পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইনের অসাংবিধানিক ও বৈষম্য মূলক ধারা সমূহ বাতিল করা।
৪। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কর্তৃক শান্তিবাহিনীর দ্বারা গণহত্যার স্থান ও গুচ্ছগ্রামসমূহ সরেজমিনে পরিদর্শন করে সকল হত্যাকান্ডের সঠিক বিচার ও ক্ষতিগ্রস্থদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করা।
৫। পার্বত্য চট্টগ্রামে চলমান ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য সর্বাগ্রে ভূমি জরিপ সম্পন্ন করে ভূমি কমিশনের কার্যক্রম চালু করা এবং তিন পার্বত্য জেলা থেকে ভূমি কমিশনে অন্তত ৬জন বাঙ্গালী সদস্য নিয়োগ ও সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি উচ্চ আদালতে ভূমি কমিশনের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ রাখা ।
৬। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে পার্বত্য চট্টগ্রামের সদস্য হিসেবে একজন বাঙ্গালী সদস্য নিয়োগ করা।
৭। বর্তমান আদমশুমারী অনুসারে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে উপজাতিদের চেয়ে বাঙ্গালীদের সংখ্যা অনেক বেশী। তাই পার্বত্য চট্টগ্রামকে উপজাতীয় অধ্যুষিত অঞ্চল না বলে পার্বত্য অঞ্চল ঘোষণা করা।
৮। বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা সমূহকে শাসন বহির্ভূত এলাকা হিসেবে গণ্য না করে এককেন্দ্রীক সাংবিধানিক শাসনযুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা।
৯। মানবাধিকার রক্ষার্থে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যাহারকৃত সেনাক্যাম্পগুলো পূনঃস্থাপন করাসহ র্যাব, পুলিশ ও বিজিবি’র কার্যক্রম আরও জোরদার করা।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে পিসিএনপি জেলা সহ সভাপতি মাও: আবুল কালাম আজাদ,আব্দুল আলীম মনু,সা.সম্পাদক মোঃ নাছির উদ্দিন,কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শাহ জালাল,জেলা সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কামাল হোসেনসহ পিসিএনপি ও তাদের অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।