পার্বত্য জেলা বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সশস্ত্র জঙ্গিবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) অতর্কিত গুলিবর্ষণে তিন সেনাসদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। গত রোববার (১২ মার্চ) দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে উপজেলার কাটাপাহাড় এলাকায় সেনাবাহিনীর টহলদলের ওপর এ হামলা হয়। বান্দরবানের স্থানীয় সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানিয়েছে, রুমা উপজেলার কাটাপাহাড় এলাকায় সেনাবাহিনীর টহল দলের ওপর জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া-এর ধর্মীয় উগ্রবাদে মদতদাতা সশস্ত্র জঙ্গি গ্রুপ কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) অতর্কিত গুলিবর্ষণে তিন সেনাসদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের উন্নত চিকিৎসা এবং দুষ্কৃতকারীদের গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বর্তমান সময়ের দুর্র্ধষ জঙ্গি সংগঠন ‘জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’-এর মদতদাতা হিসেবে কাজ করছে পার্বত্য অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ)’। বান্দরবানের রুমা উপজেলার সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সভাপতি হলেন নাথান বম। তিনি আত্মগোপনে থেকে এসব সশস্ত্র হামলার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। নাথান বমের উচ্চাভিলাষী জীবনের নেপথ্যে বেপরোয়া চাঁদাবাজি। খুমি, লাইস, খেয়াং, পাংখোয়া, ম্রো—এই পাঁচ সম্প্রদায়ের অধিকার আদায়ের নামে জেএসএফ-এর এক শীর্ষ নেতার হাত ধরে এবং তার আশ্রয় প্রশ্রয়ে কেএনএফ প্রতিষ্ঠা করেন নাথান বম। পরবর্তীকালে তিনি গুরু মারা শিষ্যের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। নিজেই হতে চেয়েছিলেন জেএসএসের বিকল্প প্রতিষ্ঠানের বস। আর এ জন্য অনৈতিকভাবে অর্থ সংগ্রহও শুরু করেন। তাকে চাঁদা না দিলে নির্যাতন ও অপহরণ করা হতো। সুন্দরী মেয়েদের নিয়ে মনোরঞ্জন করেন। এজন্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভয়ংকর এই সন্ত্রাসীর হাত থেকে বাঁচার জন্য সরকারের কাছে আকুতিও জানিয়েছেন তারা।