বান্দরবানের টংকাবতি এলাকার দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার পার্বত্য অঞ্চলের প্রশিক্ষণ কমান্ডারসহ আরও ৯ জন প্রশিক্ষণরত জঙ্গি সদস্যকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গ্রেপ্তারকৃত জঙ্গিরা হলেন, পার্বত্য অঞ্চলের প্রশিক্ষণ কমান্ডার মোঃ দিদার হোসেন মাসুম ওরফে চাম্পাই(২৫), পিতাঃ আব্দুর রহিম, সদর,কুমিল্লা, আলআমিন সর্দার ওরফে আব্দুল্লাহ ওরফে বাহাই (২৯), পিতাঃ মোঃ ইউনুস সর্দার, সদর, নারায়ণগঞ্জ, সাইনুন ওরফে রায়হান ওরফে হুজাইফা (২১), পিতাঃ মোঃ আবুল কালাম,কামরাঙ্গীর চর, ঢাকা, তাহিয়াত চৌধুরী ওরফে পাভেল ওরফে হাফিজুল্লাহ ওরফে রিতেং (১৯), পিতাঃ কামাল আহম্মেদ চৌধুরী, বিয়ানীবাজার, সিলেট, মোঃ লোকমান মিয়া (২৩), পিতাঃ আব্দুল কাদির, শাহপরান, সিলেট,মোঃ ইমরান হোসেন ওরফে সাইতোয়াল ওরফে শান্ত (৩৫), পিতাঃ মৃত আব্দুল আজিজ, লাকসাম, কুমিল্লা, মোঃ আমির হোসেন (২১), পিতাঃ আনোয়ার হোসেন, কোর্টচাদপুর, ঝিনাইদহ, মোঃ আরিফুর রহমান গুেলাইলেং (২৮) পিতাঃ ফারুক হাওলাদার, সদর, বরিশাল এবং শামিম মিয়া ওরফে রমজান ওরফে বাকলাই (২৪), পিতাঃ মোঃ গেয়াস উদ্দিন, ফুলপুর,ময়মনসিংহ। এছাড়াও উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ দেশি বিদেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃতরা নিকটাত্মীয়, স্থানীয় পরিচিত ব্যক্তি বা বন্ধু বান্ধবের মাধ্যমে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে উক্ত সংগঠনে যোগদান করে।
সোমবার সকালে বান্দরবান র্যাব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য প্রকাশ করেন র্যাবের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইং এর পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।তিনি বলেন, র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জঙ্গিবাদ বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসছে।এযাবত প্রায় ৫ হাজার জঙ্গিকে র্যাব আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে।যখনই জঙ্গিরা মাথাচাড়া দিয়েছে তখনই র্যাব সাঁড়াশি অভিযানের মাধ্যমে জঙ্গিদের পরিকল্পনা বিফল করে দিয়েছে। জঙ্গিবাদ বিরোধী জনমত গড়তে এবং জনসম্পৃক্ততা অর্জনেও র্যাব ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায়, গত রাতে (সোমবার দিবাগত রাত) আনুমানিক রাত ৩ টায় র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১,১১ ও ১৫ এর যৌথ অভিযানে বান্দরবানের টংকাবতী এলাকা হতে পার্বত্য অঞ্চলের প্রশিক্ষণ কমান্ডার দিদার সহ ৯ জঙ্গিকে গ্রেফতার করে।তাছাড়াও বিভিন্ন সময়ে র্যাবের পরিচালিত অভিযানে ইতোমধ্যে নতুন এই জঙ্গি সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাসহ সর্বমোট ৫৯ জন এবং পাহাড়ে অবস্থান, প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য কার্যক্রমে জঙ্গিদের সহায়তার জন্য পাহাড়ী বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘কেএনএফ’ এর ১৭ জন নেতা ও সদস্যকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে র্যাবের জঙ্গিবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং গ্রেপতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।