বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার দূর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে অবস্থিত পাইক্ষ্যং পাড়া।যেখানে গত ১২ মার্চ মেডিকেল ক্যাম্পিং করতে যাওয়ার সময় সেনাবাহিনী ও কেএনএফ এর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় কেএনএফ এর গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন শহীদ মাষ্টার ওয়ারেন্ট অফিসার নাজিম উদ্দিন। কেএনএফ এর ভয়ে ইতিমধ্যে রোয়াংছড়ি সহ বেশ কয়েকটি উপজেলার প্রত্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চলের জনসাধারণ এখন ঘরবাড়ি ছেড়ে আরো গহীন ও দূর্গম এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন।যার কারনে নিরাপদ পানি,খাবার ও চিকিৎসা সেবা হতে বঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন অনেকেই। বর্তমান এই পরিস্থিতিতে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারী কোন মানুষ যাতে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়, সে ব্যাপারে ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতেও সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে সেনাবাহিনী তথা বান্দরবান সেনাজোন (৫ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট)। সেই পাইক্ষ্যং পাড়াতেই গত ১৫ মার্চ জন্মগ্রহণ করে খ্রিস্টিয়াং বম নামে একটি নবজাতক শিশু। শিশুটির পিতা: পিথর বম, একজন পাড়া কারবারি ও মাতা:মাঙ্গাই পাংখুয়া একজন গৃহিনী।জন্মসূত্রেই শিশুটির পুরো শরীরজুড়ে ছিল একধরনের চর্মরোগ।এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি থমথমে থাকাতে শিশুটির চিকিৎসা করাতে পারছিলনা তার পরিবার।এতে শিশুটির শারীরিক অবস্থা অনেকটাই অবণতি ঘটে। ২৯ মার্চ (বুধবার) সকালে সেনাবাহিনী খবর পেয়ে গোলাগুলি হতে পারে জেনেও তৎক্ষণাত শিশুটিকে সু-চিকিৎসার জন্য দূর্গম পাহাড় থেকে নিরাপদে বান্দরবান জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে ও বান্দরবান সেনাজোনের তত্বাবধানে চিকিৎসাসেবা শুরু করেন।এমনকি শিশুটির উন্নত চিকিৎসার জন্য যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করারও ঘোষনা দেন সেনাবাহিনী। বান্দরবান সেনাজোনের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার ক্যাপ্টেন মোঃ আসাদুল ইসলাম এর সার্বিক তত্বাবধানে বান্দরবান সদর হাসপাতালে শিশুটি চিকিৎসাধীন রয়েছে।সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও এতে প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।