পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে বিবি পুলিশের হাতে ধরা খেয়েছেন চায়না সিকো কোম্পানীর দোভাষী জিসান (৩১)। সোমবার (৮মে) সন্ধ্যায় কুয়াকাটার একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে নগদ ৮০ হাজার টাকাসহ তাকে আটক করে পটুয়াখালী ডিবি পুলিশের একটি দল। চাঁদাবাজির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মহিপুর থানায় ৯ মে রাতে একটি মামলা হয়েছে। মামলা নম্বর-০৭। পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন ৪৮নং পোল্ডারের বেড়িবাঁধ উন্নয়নের নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না সিআইসিও কোম্পানী (সিকো)। জিসান ওই প্রতিষ্ঠানের চায়না কর্মকর্তাদের দোভাষী হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন। আটককৃত দোভাষী জিসান বরগুনা জেলার পাথরঘাটার কাঠালিয়ার আবুল হোসেনের ছেলে। মামলার বাদী তৈল ব্যবসায়ী মহসিন বিশ্বাস জানিয়েছেন, তার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান মা এন্টারপ্রাইজ চায়না প্রজেক্টের ৪৮নং পোল্ডারে কোটেশন দাখিল করে সর্বনিম্ন দরদাতা নির্বাচিত হয়ে তেল সরবারহ করছিল। একপর্যায়ে দোভাষী জিসান হাওলাদার তাদের কাছে প্রতি গাড়িতে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে প্রথমে অপারগতা প্রকাশ করলে চায়না কর্মকর্তাদের ভুল বুঝিয়ে তাদের বিল আটকে দেয়। পরে নিরুপায় হয়ে বিভিন্ন সময় তেল বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানটি দোভাষী জিসানকে বিভিন্ন কিস্তিতে মোট ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা প্রদান করে। পরে চাঁদা দিতে বিলম্ব হওয়ায় আবার তাদের বিল আটকে দেয় এবং বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করেন। এক পর্যায়ে বিল পাওয়ার লক্ষে তারা চাঁদার টাকা প্রদানের জন্য জিসানকে কুয়াকাটার একটি হোটেলে ডাকেন এবং তাকে পুনরায় ৮০ হাজার টাকায় প্রদান করে ডিবি পুলিশকে অবগত করেন। ডিবি পুলিশ তাকে ৮০ হাজার টাকাসহ হাতেনাতে আটক করে। পরে মহিপুর থানায় তার বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়। আটককৃত দোভাষী জিসানের বিরুদ্ধে এন্তার অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়ার নামে ঠিকাদারদের কাছ থেকে কমিশন গ্রহণসহ অকারণে চায়না কর্মকর্তাদের ভুল বুঝিয়ে বিভিন্ন শ্রমিকদের চাকুরিচ্যুত করারও অভিযোগ রয়েছে। মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার আবুল খায়ের জানান, জিসানের বিরুদ্ধে মহিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।