পটুয়াখালীর দুমকিতে নির্বাচনী প্রচারণায় বাঁধা দেয়া, উত্তেজনা ও গোলযোগ সৃষ্টির দায়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী হারুন রশিদ হাওলাদার ও কাওসার আমিন হাওলাদারের ৮ কর্মী-সমর্থকের প্রত্যেককে ৭দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। নির্বাচনী দায়িত্বরত নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ জিয়াউল হাসান গত রবিবার রাত সাড়ে ১১টায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচার বসিয়ে আটককৃত ৮ কর্মী-সমর্থকের প্রত্যেককে ৭দিনের কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সাতানী গ্রামের মৃত- আনোয়ার হোসেনের ছেলে মোঃ শহীদুল ইসলাম (২০), বাহেরচর গ্রামের বজলুর রহমান মাঝির ছেলে সোহাগ (২৪), একই গ্রামের ইউসুব সিকদারের ছেলে রাকিব শিকদার (২২), আইয়ুব আলী মোল্লার ছেলে রিয়াজ মোল্লা (২২), দুমকি গ্রামের আবুল কালামের ছেলে সাইদুল হক (২৫), সাতানী গ্রামের হাবিব হাং এর ছেলে ইমরান হাওলাদার (২৫), দুমকি গ্রামের আঃ লতিফ মৃধার ছেলে হাবিবুর রহমান (খোকন) (৪৩), ঝাটরা গ্রামের মান্নান খানের (কন্ট্রাক্টর) ছেলে সায়েম খান (৩৪)। দন্ডিতদেরকে দুমকি থানা হাজত থেকে আজ সোমবার সকালে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার (২ জুন) রাত সাড়ে ন’টার দিকে আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের রূপাশিয়া গ্রামের তালুকদার পাড়ায় জনৈক এসএম ফজলুল হকের অসুস্থ শশুরকে দেখতে যান কাপ পিরিচ মার্কার চেয়াম্যান প্রার্থী কাওসার আমীন হাওলাদার। খবর পেয়ে মোটর সাইকেল মার্কার শতাধিক কর্মী-সমর্থক ওই বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নানা উস্কানী মূলক শ্লোগান দেয়। এতে দু’প্রার্থীর কর্মী সমর্থকের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়। অবস্থা বেগতিক দেখে চেয়ারম্যান প্রার্থী কাওসার আমীন হাওলাদার ওই বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে দু’পক্ষের উত্তেজিত কর্মী সমর্থকদের সাথে হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কি হয়। এসময় নির্বাচনী দায়িত্বরত নির্বাহী মেজিষ্ট্রেট জিয়াউল হাসান ঘটনাস্থলে পৌছে দু’পক্ষের অন্ততঃ ১১জনকে আটক করেন। পরে রাত সাড়ে ১১টায় ইউএনও কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচার বসিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় বাঁধা প্রদান, গোলযোগ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে ৮জনের প্রত্যেককে ৭দিনের কারাদন্ডাদেশ দেন। অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় ৩ কিশোর নয়ন গাজী (১৪), শাহাদত মৃধা (১৫) ও জায়েদ মৃধা (১৪)কে মুচলেকায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। দন্ডপ্রাপ্তদের ৩জন কাপ পিরিচ ও ৫জন মোটর সাইকেল প্রতীকের কর্মী সমর্থক বলে জানা গেছে। দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মোঃ সফিউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিৎ করে দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান।