চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির ভূজপুর থানার নারায়নহাট ইউনিয়নে ১৫ বছর বয়সী শ্যালিকাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের দায়ে মো. পারভেজ মাসুদ (৩৩) নামে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম ফেরদৌস আরা এ রায় দেন। রায়ের সময় আসামী ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। পরে সাজা পরোয়ানামূলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি এম এ নাসের চৌধুরী বলেন, ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণে শ্যালিকাকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি পারভেজ মাসুদকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯ (১) ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ১ লাখ টাকা অথর্দন্ড অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮(২) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড , ১ লাখ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। উভয় সাজা পর্যায়ক্রমে চলবে। মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট ভূজপুর থানার নারায়নহাট ইউনিয়নে একটি জঙ্গলের ভিতরে ১৫ বছরের কিশোরীকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে চাচাতো বোনের জামাই মো. পারভেজ মাসুদ জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। একই সময় ভিকটিমের আপত্তিকর ছবি মোবাইলে ধারণ করে ছবি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে একই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর পুনরায় ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বোন থানায় একই বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর থানায় মামলা করেন। পুলিশ মামলার তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৭ নভেম্বর আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। আসামি পারভেজ দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেন।