নতুন ভবন নির্মান সকল আধুনিক সুবিধা সংযোজনের পরও বেড়া উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা প্রসুতি মা ও বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিও সাধারন মানুষের অপারেশন সেবা ব্যহত হচ্ছে একজন এনেস্থিসিয়া চিকিৎসকের অভাবে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় ভোগান্তি পোহাচ্ছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগি ও তার স্বজনরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়,দুই লক্ষাধিক জনসংখ্যা অধ্যাসিত বেড়া উপজেলাবাসী ছাড়াও এখানে চিকিৎসা নিতে আসেন সিরাজগঞ্জের চৌহালী ও মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চরাঞ্চলের মানুষ। নদী পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় ওই দুই উপজেলার চরাঞ্চলের মানুষ সহজেই বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসতে পারেন। বিশেষ করে প্রসূতি মা সেবা নিতে আসেন এ হাসপাতালে।
প্রতিদিন কমপক্ষে পাঁচ শতাধিক মানুষের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা,ব্যবস্থাপত্র,ও ঔষধ প্রদান করা হয় এ স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে। রোগিদের বাড়তি চাপ সামলাতে বিগত জোট সরকারের সময় হাসপাতালটি ৩০শয্যা থেকে উন্নীত করে ৫০শয্যা করা হয়।বর্তমান সরকার ক্ষমতাশীন হলে এলাকার সাংসদ জাতীয় সংসদের ডিপুটি স্পিকার অ্যাডঃ শামছুল হক টুকু ব্যাপক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহন করেন। পুরাতন ভবন সংস্কার নতুন ভবন নির্মান করা হয়।
চিকিৎসা ব্যবস্থায় যোগকরা হয় প্রয়োজনীয় আধুনিক যন্ত্রপাতি। চিকিৎসক সংকট কাটিয়ে এসকল যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে রোগিদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করায় সাধারন মানুষের মধ্যে অনেকটা স্বস্তি ফিরে এসেছে।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, এ হাসপাতালে প্রসূতি মায়ের গর্ভকালীন সেবা ও নিরাপদ সন্তান প্রসব সেবা প্রদানের জন্য রয়েছেন একজন প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ চিকিৎসক। এছাড়া একজন কনসালন্টেট চিকিৎসক,অর্থোপেডিক্স চিকিৎসক, গ্যাস্ট্রো মেডিসিন’সার্জারি চিকিৎসক একজন হারবাল চিকিৎসকসহ ১৩ জন চিকিৎসক চিকিৎসা সেবা প্রদান করছেন।
প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ চিকিৎসক রওশন আরা রিতা বলেন, তিনি মাতৃত্বকালীন সেবা প্রদান করতে পারলেও প্রসবকালীন জটিলতা সৃস্টি হওয়া মা-কে সিজারিয়ান অপারেশন করতে পারছেন না শুধুমাত্র একজন এনেস্থিসিয়া ডাক্তারে অভাবে।
এদিকে পাবনা ঢাকা মহাসড়কের পাশে হাসপাতালটির অবস্থান হওয়ায় বেড়া- সাঁথিয়া, সুজানগর, শাহজাদপুরে সড়ক মহাসড়কে সংগঠিত দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদেরকে জরুরি ভিত্তিতে নিয়ে আসা হয় বেড়াহাসপাতালে। সেখানেও জটিল অপারেশনের প্রয়োজন হলে অন্তরায়া হয়ে দাঁড়ায় এনেস্থিসিয়া চিকিৎসকের।
অন্যদিকে পিত্তথলীতে পাথর এপেন্ডিসাইটিসসহ সাধারণ অপারেশনের জন্য রয়েছে একজন সার্জন চিকিৎসক তিনিও এনেস্থিসিয়া ডাক্তারের অভাবে অপারেশন কার্যক্রম চালাতে পারছেন না বলে হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়।
বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ফাতেমা-তুজ জান্নাত “দৈনিক নবচেতনাকে” জানান, বর্তমানে হাসপাতালে একজন এনেস্থিসিয়া চিকিৎসক ছাড়া কোন চিকিৎসক সংকট নেই। আধুনিক অপারেশন থিয়েটারসহ সার্জন, গাইনী, অর্থোঃসার্জন, কনসালন্টেন্ট চিকিৎসক রয়েছে এখানে। তিনি একজন এনেস্থিসিয়া ডাক্তারে জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত আবেদনসহ বেশ কয়েবার মৌখিক আবেদন জানিয়ে আসছেন। এখানে একজন এনেস্থিসিয়া ডাক্তার নিয়োগ হলে দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকা অপারেশন থিয়েটার চালুর মাধ্যমে রোগিদের দুর্ভোগ লাঘব হবে বলে তিনি জানান।