রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী শামীমকে কারচুপির মাধ্যমে পরাজিত করার অভিযোগে পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন তার কর্মী-সমর্থকরা। মিছিল নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে আসাকে কেন্দ্র নগরীর শাপলা চত্বরে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া আর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেখানে পুলিশের বেপরোয়া লাঠিচার্জে নারী পুরুষসহ ৩৫ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে এই ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার হওয়া এই নির্বাচনে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীরা অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ও বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনায় আরও কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। নতুন করে নির্বাচন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা।
পুলিশ ও প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থীকে শামীমের কর্মী-সমর্থকরা নগরীর মীরগঞ্জ থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে আসার পথে শাপলা চত্বরে এলাকায় পুলিশ মিছিলের গতিরোধ করে। এ সময় মিছিলকারীরা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাদের সঙ্গে পুলিশের বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে পুলিশ বেপরোয়া লাঠিচার্জ শুরু করে।
এ সময় পুরো শাপলা চত্বর এলাকায় সংঘর্ষ চলে। পুলিশের বেপরোয়া লাঠি চার্জে কমপক্ষে ৩৫ নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন। এ সময় রংপুর কোতোয়ালী মেট্রো থানার ওসি মাহফুজুর রহমান আন্দোলনকারীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান।
এর আগে, দুপুর ১টার দিকে ২০ নম্বর ওয়ার্ডে সামান্য ভোটে পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী জেপলিনের সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা কার্যালয়ে এলে পুলিশের সঙ্গে তাদেরও হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। এ সময় কমপক্ষে ১০ জন আহত হন।
এ ছাড়াও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পরাজিত প্রার্থী একরামুল হককে কারচুপি করে পরাজিত করা হয়েছে অভিযোগ করে তার শত শত সমর্থক রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করে বিক্ষোভ করেছেন।
এ ছাড়াও নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে দুই কাউন্সিলর প্রার্থী শাহাজাদা আরমান আর ফুলু দুজনই সমান তিন হাজার ৫০৩ ভোট করে পাওয়ায় ওই ওয়ার্ডে পুনরায় ভোটগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এটিকে কেন্দ্র করে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুই প্রার্থী পাল্টাপাল্টি একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। তবে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের কোনও কর্মকর্তা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। তারা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অজুহাত দেখিয়ে কথা বলেননি।
পরে কোতোয়ালি থানার ওসি মাহফুজুর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, পুলিশ লাঠিচার্জ করেনি বরং বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিয়েছে।